মেলা নিয়ে বিরোধে শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ১১:২৬ ।
দেশের খবর
পঠিত হয়েছে ১৪৮ বার।

নোয়াখালীর সেনবাগে মেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে এক মাদরাসা ছাত্রকে হত্যা করা হয়েছে।

বুধবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের সেবারহাট বাজারের সাইন্স ক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের নাম মাজহারুল ইসলাম শাওন (২০)। তিনি উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর রাজারামপুর গ্রামের জমাদার বাড়ির আবুধাবি প্রবাসী কচি মিয়ার ছেলে। তিনি স্থানীয় উত্তর রাজারামপুর বশিরিয়া আলিম মাদরাসার আলিম দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সেনবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হেলাল উদ্দিন।  তিনি বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে একই গ্রুপের লোকজন শাওনকে হত্যা করেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া বৃহস্পতিবার উপজেলার সেবারহাট বাজারের শেরে বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে একদিনের জন্য বৈশাখী মেলার আয়োজন করে বাজারের ইজারাদার মাহফুজ, জোবায়ের ও সাইদুল হক মেম্বার। এজন্য গত কয়েক দিন ধরে এলাকায় চালানো হয় মাইকিং। এর মধ্যে বুধবার বিকালে মেলায় চলে আসে ১৫-২০টি দোকান। একই দিন রাত ৮টার দিকে মেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের জসিম কন্ট্রাক্টরের ছেলে হৃদয়ের সাথে শাওন গ্রুপের বিরোধ দেখা দেয়। একপর্যায়ে রাত ৮টার দিকে সেবারহাট বাজারের সাইন্স ক্লাবের সামনে হৃদয়ের নেতৃত্বে শাওনের বুকে, পেটে ছুরিকাঘাত করা হয় এবং একই সময়ে পিয়াস নামে আরও এক তরুণকে গুরুতর আহত করা হয়। পরে তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা ফেনীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক শাওনকে মৃত ঘোষণা করেন। পিয়াসকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বেগমগঞ্জ সার্কেল) মো. নাজমুল হাসান রাজীব বলেন, অনুমোদনহীন মেলা বসানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। ওই বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। ঘটনার পরপরই অবৈধ মেলা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অবৈধভাবে মেলা বসানো ও হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ঘটনার সাথে জড়িত কিছু আসামির নাম আমরা পেয়েছি। তবে তদন্ত শেষে পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।