বগুড়ায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেলেন ভূমি ও গৃহহীন ২০ পরিবার

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:৫৩ ।
প্রধান খবর
পঠিত হয়েছে ১৩ বার।

মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘর, খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ পেলো যমুনা নদীগর্ভে বাড়ি-ঘর বিলীন হওয়া ২০টি পরিবার। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে কামালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে উপকারভোগীদের মাঝে এসব ঘর হস্তান্তর করা হয়। 

সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও কামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাছেদুউজ্জামান রাছেলের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বগুড়া জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুল ইসলাম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য চমৎকার পরিবেশে মানসম্মত টেকসই ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। যমুনা নদীগর্ভে বিলীন হওয়া ২০টি পরিবার এখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘর উপহার পেলেন। এর ফলে তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পর্যায়ক্রমে সারাদেশে দরিদ্র জনগোষ্ঠী যাদের জমি ও ঘর নাই, তাদের বসবাসের জন্য বাড়ি করে দিয়েছেন। তিনি ঘোষনা দিয়েছেন দেশে একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না। শেখ হাসিনা সেটি বাস্তবায়ন করেছেন। 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সাদমান আকিব, সারিয়াকান্দি উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা সবুজ কুমার বসাক প্রমুখ। 

কামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাছেদুউজ্জামান রাছেল জানান, কামালপুর ইউনিয়নের ইছামারা গ্রামের প্রায় ২৩টি পরিবারের ঘর-বাড়ি যমুনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। সবকিছু হারিয়ে তারা এক কাপড়ে বাঁধে আশ্রয় নেয়। এখন সেই পরিবারগুলো প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে উচ্ছ¡সিত। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় পেয়েছেন নতুন পাকা বাড়ি। এযেন তাদের কাছে অনেকটাই স্বপ্নের মতো। এখন তারা নিজ ঘরে বসেই কেউ বাড়ির আঙিনায় গড়ে তুলেছে সবজি বাগান।

প্রানমন্ত্রীর উপহারের পাকা ঘর পাওয়া ৭০ বছরের বিধবা রোমি বেওয়া জানান, গত বন্যায় আমার বাড়ি যমুনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। শুধু এক কাপড়ে জীবন রক্ষার্থে বাঁধে আশ্রয় নেই। থাকার কোন জায়গা ছিল না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন ঘর দিয়েছেন। নতুন করে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেেিখয়ছেন। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দোয়া করি, যেন তিনি আরো অনেক বছর বেচেঁ থাকেন এবং ভালো থাকুন। 

শুধু রোমি বেওয়াই নয় প্রধানমন্ত্রীর নতুন ঘর পাওয়া নূর বেগম ও সোলাইমানসহ আরো অনেকেই প্রধানমন্ত্রীর ঘর পেয়ে খুশি। 

এর আগে জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুল ইসলাম কামালপুর ইউনিয়ন পরিষদে সার্বজনীন পেনশন স্কিম এর বুথ উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, সরকারের বিভিন্ন গণ উন্নয়নমুখী কার্যক্রমের মধ্যে সর্বজনীন পেনশন কার্যক্রমটি একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ। এখন থেকে কোনো মানুষের মনে বৃদ্ধ বয়সে পেনশন না পাওয়ার আক্ষেপ থাকবে না। তিনি সকলকে এ কাজের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করার জন্য অনুরোধ জানান। নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা ও সমতা এই চার ক্যাটাগরিতে যে পেনশন স্কিম রয়েছে স্ব-স্ব উদ্যোগে সকলকে রেজিস্ট্রেশন করার আহবান জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার বাস্তবায়নে গত ১৭ আগস্ট-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বজনীন পেনশন স্কিম উদ্বোধন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় সর্বজনীন পেনশন স্কিমে ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী সকল বাংলাদেশি নাগরিক অংশ নিতে পারবেন। তবে বিশেষ বিবেচনায় পঞ্চাশোর্ধ নাগরিকগণও ১০ বছর নিরবচ্ছিন্ন চাঁদা প্রদান করলে আজীবন পেনশন সুবিধা পাবেন।