বগুড়ায় থানায় হামলা: উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেপ্তার

বগুড়ার শাজাহানপুরে থানায় হামলা চালিয়ে আসামি ছিনতাইয়ের চেষ্টা ও পুলিশকে মারধরের মামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের আরও এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা বিভাগ ডিবি। শুক্রবার ভোররাতে মাদলা চাঁচাইতারা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তার ওই ব্যক্তির নাম আমিনুল ইসলাম সোহাগ। তিনি মাদলা চাঁচাইতারা গ্রামের মোর্শেদুল ইসলামের ছেলে। এছাড়াও সোহাগ শাজাহানপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে বগুড়া ডিবির অফিসার ইনচার্জ মুস্তাফিজ হাসান।  

ডিবির এই কর্মকর্তা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোররাতে অভিযান চালিয়ে আমিনুল ইসলাম সোহাগকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। থানায় হামলার মামলায় তিনি তদন্তেপ্রাপ্ত আসামি। এই নিয়ে এ ঘটনায় মোট ১৩জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। 

এদিকে, শাজাহানপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জিয়াউল হক জুয়েল বলেন, আমিনুল ইসলাম সোহাগ আমাদের উপজেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক।  তার বিরুদ্ধে যদি কোন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হয় তা সবার সাথে আলোচনা করে নেয়া হবে৷ 

এর আগে,  ৬ এপ্রিল রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাত ৯টায় আড়িয়া বাজার এলাকায় অভিযানে মদ্যপ অবস্থায় মাদক, ২টি বার্মিজ চাকু ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মিঠুনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনার পর রাত ১০টার দিকে মাঝিড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান ওরফে নুরু অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে থানায় প্রবেশ করে আসামি মিঠুন মিয়াকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় থানার ওসি শহিদুল ইসলামকে ধাক্কা দেয় এবং অপর পুলিশ সদস্যদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারপিট করে পালিয়ে যায়। মারপিটে অন্তত পাঁচজন পুলিশ সদস্য আহত হন।  পরে নুরুজ্জামানসহ আরও লোকজন নিয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে আবারও আক্রমণ করতে মাঝিড়ায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে অবস্থান নেয়। এ সময় জেলা পুলিশ, র‍্যাব ও ডিবির সদস্যরা নুরুসহ ৯জনকে গ্রেপ্তার করে। এসময় অভিযান পরিচালনা করে নুরুর বাড়ি থেকে ৭ রাউন্ড গুলিসহ একটি পিস্তল এবং নুরুর ম্যানেজার নাজমুলের বাড়ি থেকে ৮ রাউন্ড গুলিসহ আরও একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়াও ৩৬টি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।