বগুড়ায় থানায় হামলা: এবার জেলা মৎস্যজীবী লীগ নেতা গ্রেপ্তার

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২০ এপ্রিল ২০২৪ ১৩:২২ ।
প্রধান খবর
পঠিত হয়েছে ৪৯ বার।

 বগুড়ায় থানায় হামলা চালিয়ে আসামি ছিনতাইয়ের চেষ্টার মামলায় জেলা মৎস্যজীবী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে  ডিবি। শুক্রবার রাতে শহরের মফিজ পাগলার মোড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

 

গ্রেপ্তার ওই ব্যক্তির নাম শাকিল মাহমুদ। তিনি শাজাহানপুর উপজেলার খোট্টাপাড়া ইউনিয়নের জোকা গ্রামের আব্দুল জলিল মন্ডলের ছেলে। এছাড়াও তিনি বগুড়া জেলা মৎস্যজীবী লীগের ২০২০ সালের আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন।  এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বগুড়া ডিবির উপ-পরিদর্শক আবু জাফর। 

 

 

ডিবির এই কর্মকর্তা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে শাকিলকে  গ্রেপ্তার করা হয়েছে। থানায় হামলার মামলায় তিনি তদন্তেপ্রাপ্ত আসামি। এই নিয়ে এ ঘটনায় মোট ১৪জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। 

 

তিনি আরও বলেন, থানায় হামলা চালানো এবং বাসা থেকে অস্ত্র উদ্ধারের মূলহোতা মাঝিড়া ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান নুরুর ঘনিষ্ট সহচর এই শাকিল। এই শাকিলকে দিয়ে নুরুজ্জামান অবৈধভাবে ভূমি দখলের যাবতীয় কাজ করিয়ে নিতো। 

 

 

এর আগে,  ৬ এপ্রিল রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাত ৯টায় আড়িয়া বাজার এলাকায় অভিযানে মদ্যপ অবস্থায় মাদক, ২টি বার্মিজ চাকু ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মিঠুনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনার পর রাত ১০টার দিকে মাঝিড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান ওরফে নুরু অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে থানায় প্রবেশ করে আসামি মিঠুন মিয়াকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় থানার ওসি শহিদুল ইসলামকে ধাক্কা দেয় এবং অপর পুলিশ সদস্যদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারপিট করে পালিয়ে যায়। মারপিটে অন্তত পাঁচজন পুলিশ সদস্য আহত হন।  পরে নুরুজ্জামানসহ আরও লোকজন নিয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে আবারও আক্রমণ করতে মাঝিড়ায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে অবস্থান নেয়। এ সময় জেলা পুলিশ, র‍্যাব ও ডিবির সদস্যরা নুরুসহ ৯জনকে গ্রেপ্তার করে। এসময় অভিযান পরিচালনা করে নুরুর বাড়ি থেকে ৭ রাউন্ড গুলিসহ একটি পিস্তল এবং নুরুর ম্যানেজার নাজমুলের বাড়ি থেকে ৮ রাউন্ড গুলিসহ আরও একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়াও ৩৬টি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।