বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ায় শারীরিক প্রতিবন্ধীকে হত্যা; রং মিস্ত্রির মৃত্যুদণ্ড

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ১২:৩৩ ।
দেশের খবর
পঠিত হয়েছে ১০ বার।

কুমিল্লার চান্দিনায় বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ায় শারীরিক প্রতিবন্ধী গুলশান আরাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। এর দায়ে মো. মুকবুল হোসেন নামের এক রং মিস্ত্রিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত। মঙ্গলবার বিকেলে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আফরোজা শিউলী এ রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. মুকবুল হোসেন চান্দিনা উপজেলার রানীচড়া (নয়াকান্দি) গ্রামের মৃত মনু মিয়ার ছেলে। 

 

মামলার বিবরণে জানা যায় ২০১৫ সালের ১১ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টায় চা আনার জন্য দোকানে গিয়ে বাড়িতে ফিরে না আসায় তার স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। একপর্যায়ে ধৈঞ্চা খেতে গুলশানের মরদেহ দেখতে পায়। 

 

এ ব্যাপারে ভিকটিমের বাবা কুমিল্লা চান্দিনা উপজেলার রানীচড়া (নয়াকান্দি) গ্রামের মো. শরীফ বাদী হয়ে ২০১৫ সালের ১২ আগস্ট অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই স্বপন কুমার দাস গুলশান আরার মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে ঘটনার ১৮ দিন পর একই গ্রামের মনুমিয়ার ছেলে আসামি মো. মুকবুলকে গ্রেফতার করে। মকবুল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। 

জবানবন্দিতে জানা যায়- গুলশান আরার সাথে আসামি মো. মুকবুল হোসেনের দৈহিক সম্পর্ক ছিলো। গুলশান আরা গর্ভবতী হওয়ায় তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে আসামি মো. মুকবুল হোসেন তা প্রত্যাখান করেন। ঘটনার দিন বাড়ি হতে ডেকে এনে গুলশানের বাড়ির পূর্ব পাশে ধৈঞ্চা খেতে নিয়ে গলায় ওড়না পেচিয়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। 

 

তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০১৬ সালের ২৫ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পর্যালোচনাক্রমে তাকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন আদালত। সেই সাথে ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন।  

 

এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট মো. নেয়ামত উল্যাহ চৌধুরী জামান বলেন, আশা করছি উচ্চ আদালত এ রায় বহাল রেখে দ্রুত কার্যকর করবেন।