বগুড়ায় আইএফআইসি ব্যাংকে চুরির ঘটনায় মামলা দায়ের

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২৪ ২২:৫৫ ।
প্রধান খবর
পঠিত হয়েছে ৩৬ বার।

বগুড়ায় আইএফআইসি ব্যাংকে সিন্দুক ভেঙে ২৯ লক্ষাধিক টাকা চুরির ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে বগুড়া সদর থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়। মামলার বাদী ব্যাংকের কাস্টমার সার্ভিস ম্যানেজার নজরুল ইসলাম।  তিনি মামলায় অজ্ঞাতনামাদের আসামিদের করেছেন। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বগুড়া সদর থানার ইন্সপেক্টর( তদন্ত)শাহীনুজ্জামান।   

 

এর আগে, বুধবার (১৩ জুন) গভীর রাতে শহরের মাটিডালি এলাকায় আইএফআইসি ব্যাংকের স্থানীয় একটি উপ-শাখায় এ চুরির ঘটনা ঘটে৷ 

 

 ওই ব্যাংকের বগুড়া শাখার ব্যবস্থাপক তাজমিলুর রহমান জানান, দুই দুর্বৃত্ত গায়ে পলিথিন জড়িয়ে বুধবার রাত আড়াইটার দিকে দ্বিতল ভবনের টিনশেডের সিঁড়ির ঘরের ইট খুলে ভেতরে ঢুকে তালা ও ভল্ট ভেঙ্গে ২৯ লাখ ৪০ হাজার ৬১৮ টাকা নিয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার সকালে কর্মচারীরা শাখা খোলার পর চুরির বিষয়টি টের পান। পরে পুলিশের একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। 

 

 

 

ভবন মালিক অ্যাডভোকেট শাজাহান আলী জানান, শুধু দিনের বেলা তদারকির জন্য জাহেদুর রহমান নামে একজন কেয়ারটেকার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অপর দিকে ব্যাংক কর্তৃপক্ষও জানিয়েছেন ব্যাংকিং-এর সময়ে সার্বিক পরিস্থিতি দেখভালের জন্য তাদের একজন ওয়াচম্যান রয়েছে।

 

 

সরেজমিনে দেখা যায়,   যে দ্বিতল যে ভবনটিতে ব্যাংকের শাখা রয়েছে তার পেছনে করতোয়া নদী। আর দক্ষিণে দ্বিতল অপর ভবনের ছাদ থেকে খুব সহজেই ব্যাংকের সিঁড়ি ঘরের ছাদে যাওয়া-আসা করা সম্ভব। পুলিশ এবং ব্যাংক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চোরেরা সিঁড়ি ঘরের ইট সরিয়ে ভবনটিতে প্রবেশ করে।

বৃহস্পতিবার সকালে চুরির ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর আইএফআইসি ব্যাংকের ওই উপ-শাখায় সব ধরনের লেনদেন বন্ধ রাখা হয়। ফলে গ্রাহকরা ফিরে যাচ্ছিলেন।

 

 

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) স্নিগ্ধ আখতার ওই চুরির ঘটনায় ব্যাংকটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আইএফআইসি ব্যাংকের ওই উপ-শাখাটিতে দুজন কর্মকর্তা, দিবাকালীন একজন ওয়াচম্যান এবং একজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী থাকলেও কোন নৈশপ্রহরী ছিল না। তাছাড়া আইএফআসি ব্যাংকে অযাচিত কেউ ঢুকলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাদের প্রধান কার্যালয়ে সতর্ক সংকেত পৌঁছানোর কথা থাকলেও এক্ষেত্রে তা ঘটেনি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ব্যাংকগুলোতে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে প্রত্যেক ব্যাংকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের এসপি অফিসে ডাকা হয়েছিল। এসপি স্যার তাদেরকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেছিলেন। কিন্তু এখানে সেটা মানা হয়নি।’ 

 

 

নৈশপ্রহরী না রাখার কারণ জানতে চাইলে আইএফআইসি ব্যাংক বগুড়া শাখার ব্যবস্থাপক তাজমিলুর রহমান বলেন, ‘আমাদের এখানে নৈশ প্রহরীর কোন পদ রাখা হয়নি।’ অযাযিত লোক প্রবেশ করলে কেন্দ্রীয়ভাবে সতর্ক সংকেত বেজে ওঠার যে পদ্ধতি রয়েছে সেটি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘হ্যা আমাদের এ ধরনের সিস্টেম রয়েছে। তবে এটি কাজ করেছে কি’না সেটা আমরা বলতে পারছি না।’