বগুড়ায় টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দিল পুলিশ

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৪ ২০:১৩ ।
প্রধান খবর
পঠিত হয়েছে ২৬ বার।

বগুড়ায় টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে কোটাবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয়৷ বেলা তিনটা থেকে শুরু হওয়া এই আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টা সাতমাথা এলাকায় অবস্থান করে থাকে। এসময় তিন সাংবাদিকসহ অন্তত ১০জন আহত হয়েছেন।  

 

পুলিশ সুপার জাকির হাসান বলেন, 'শিক্ষার্থীরা কথা দিয়েছিল তারা অহিংস আন্দোলন করবে৷ তাই আমরা তাদের কোন কিছু বলিনি৷ কিন্তু যখন তারা জানমালের ওপর হামলা চালালো তখনি পুলিশ একশনে যেতে বাধ্য হয়েছে। এখন সাতমাথা পুরোপুরি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।'

 

তিনি আরও বলেন, 'যারা ভাংচুর, হামলা চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে। শহরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে পুলিশসহ অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা কঠোর ও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।'

 

এদিকে, বেলা তিনটা থেকে জিলা স্কুলের সামনে থেকে বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে কোটাবিরোধী মিছিল বের করা হয়। এসময় ছাত্রলীগের সাথে আন্দোলনকারীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীদের ধাওয়ায় পিছু হটতে বাধ্য হয় ছাত্রলীগ। পরে আন্দোলনকারীরা পুরো সাতমাথা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে অবস্থান নেয় এবং বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। আন্দোলনের এক পর্যায়ে তারা আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাংচুর, আওয়ামী লীগ নেতা সুলতান মাহমুদ খান রনির অফিস, পুলিশ বক্স,  মুজিব মঞ্চ এবং প্রধান ডাকঘরের জানালার কাচ ভাংচুর করে এবং আগুন লাগিয়ে দেয়। এছাড়াও পাঁচটি মোটরসাইকেল আগুন লাগিয়ে দেয় তারা। আন্দোলনের মাঝে বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তাদের এ অবস্থানের কারণে পুরো সাতমাথা এলাকায় ব্লক হয়ে যায়৷   সাতমাথা কেন্দ্রীক সবগুলো রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ থাকতে দেখা যায়। বন্ধ রাখা হয় আশেপাশের দোকানপাট ও মার্কেট। এমনকি রাস্তা বিভাজকে ব্যবহৃত লোহার শিটও তারা ভেঙে ফেলে।   পরে আন্দোলন ক্রমেই সহিংস হয়ে উঠলে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। 

 

 

এর আগে, সকালে বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজে কোটাবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে সড়ক অবরোধের পর ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে চার শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এছাড়াও বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ঘন্টাব্যাপী ঢাকা- বগুড়া মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এর হস্তক্ষেপে ক্যাম্পাসে ফিরে যায়। অপরদিকে, কোটাবিরোধী আন্দোলনে পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীও রাস্তায় নামে। এসময় তারা শাহ সুলতান কলেজ গেইটে ভাংচুর চালায় এবং পরে তারাও বনানী এলাকায় ঢাকা- রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করে। 

 

জেলা প্রশাসক মো: সাইফুল ইসলাম বলেন, জেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিন প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।