শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় খালাস পেলেন ড. ইউনূস

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ অগাস্ট ২০২৪ ১৮:২৯ ।
দেশের খবর
পঠিত হয়েছে বার।

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় শ্রম আদালতের দেওয়া কারাদণ্ড থেকে খালাস পেয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। একই মামলা থেকে খালাস পান গ্রামীণ টেলিকমের অন্য তিন শীর্ষ কর্মকর্তা।

 

বুধবার (৭ আগস্ট) বিকালে শুনানি শেষে বিচারক এম এ আউয়াল এই রায় দেন।

 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ড. ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন। 

 

আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, তার বিরুদ্ধে যেসব ধারায় মামলা হয়েছে এবং যে রায় দেওয়া হয়েছে, তা সঠিক হয়নি বলে মনে করি। জাতিসংঘ এই রায় পর্যবেক্ষণ করে বলেছিল, এটি ন্যায়বিচারের সঙ্গে প্রতারণা। সবকিছু বিবেচনায় এনে আজ শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল তাকে এ মামলা থেকে খালাস দিয়েছেন। 

 

গত ১ জানুয়ারি ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান শেখ মেরিনা সুলতানা এক মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. ইউনূস এবং এর পরিচালক আশরাফুল হাসান, নুরজাহান বেগম ও এম শাহজাহানকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন।

 

রায় ঘোষণার পরপরই পৃথক জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত চারজনকেই এক মাসের জামিন দেন। ছয় মাসের কারাদণ্ড ছাড়াও আদালত চারজনকেই ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ২৫ দিন কারাদণ্ড দেন।

 

পাশাপাশি আদালত তাদের এক মাসের মধ্যে শ্রম আইন ২০০৬ এর প্রাসঙ্গিক ধারাগুলো মেনে চলার নির্দেশ দেন।

 

ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন ড. ইউনূস।

 

২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে মামলাটি করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন বিভাগের শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ) এসএম আরিফুজ্জামান।

 

মামলার নথি অনুসারে, আইএফইডি কর্মকর্তারা ২০২১ সালের ১৬ আগস্ট ঢাকার মিরপুরে গ্রামীণ টেলিকমের অফিস পরিদর্শন করে শ্রম আইনের বেশকিছু লঙ্ঘন খুঁজে পান।

 

ওই বছরের ১৯ আগস্ট গ্রামীণ টেলিকম কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠিয়ে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানটির ৬৭ কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা ছিল কিন্তু তা করা হয়নি।

 

এ ছাড়া, কর্মচারীদের পার্টিসিপেশন ও কল্যাণ তহবিল এখনও গঠন করা হয়নি এবং কোম্পানির যে লভ্যাংশ শ্রমিকদের দেওয়ার কথা ছিল তার পাঁচ শতাংশও পরিশোধ করা হয়নি।