দশ বছর পর বগুড়ায় শিক্ষক বাকী হত্যাকাণ্ডে ১৮জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৯:৪০ ।
প্রধান খবর
পঠিত হয়েছে ২০৪ বার।

দশ বছর পর বগুড়ায় শিক্ষক আব্দুল বাকী নিহতের ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় ১৮জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ৫০জনকে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে বগুড়া সদর থানায় মামলাটি করেন নিহত বাকীর বাবা ইয়াকুব আলী। বুধবার সন্ধ্যায় মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইহান ওলিউল্লাহ।  

 

নিহত আব্দুল বাকী শেরপুর উপজেলার খামারকান্দি এলাকার ইয়াকুব আলীর ছেলে এবং তৎকালীন বগুড়া বিয়াম মডেল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক ছিলেন৷ 

 

মামলার আসামিরা হলেন- সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বেনজির,  চন্দন দাস, বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আল রাজী জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক মাশরাফি হিরো, সাবেক সভাপতি নাইমুর রাজ্জাক তিতাস, সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার, ছাত্রলীগ নেতা আসাদুর রহমান আসাদ, বগুড়া জেলা যুবলীগের সভাপতি শুভাশিষ পোদ্দার লিটন,  সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ডাবলু, জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি সজীব সাহা, ছাত্রলীগ নেতা স্বপন সরকার, বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাগর কুমার রায়, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আতাউর রহমান আতা, সাবেক ছাত্রনেতা মশিউর রহমান মন্টি, মুরাদ হোসেন, যুবলীগ নেতা আনন্দ চন্দ্র দাস, নুরুল আমিন শিশির এবং খুররম। 

 

মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৪ সালের ২১ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিয়াম মডেলের শিক্ষক আব্দুল বাকী বাসর ঘর সাজানোর জন্য শহরের ফুলপট্টি এলাকায় ফুল কিনতে যান। এসময় উল্লেখিত নামীয় আসামিরা এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৫০জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাকীকে ঘিরে ধরে। তারপর তারা সবাই মিলে বাকীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে হত্যা করে৷  ওই সময় পুলিশ নিহতের বাবার স্বাক্ষর একটি সাদা কাগজে নিয়ে মরদেহ হস্তান্তর করেছিল। পরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকায় প্রভাবশালী নেতাকর্মীরা নিহতের বাবাকে মামলা না করতে ভয় ভীতিসহ হুমকি প্রদান করে। পরে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে ১০ বছর নিহতের বাবা বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। 

 

বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন, ২০১৪ সালে আব্দুল বাকী নিহতের ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে ১৮জনের নাম এবং অজ্ঞাতনামা ৫০জনকে আসামি করা হয়েছে৷ এ মামলায় আসামিদের ধরতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।