বগুড়ার শিবগঞ্জে স্কুল মাঠে গরু ছাগলের হাট

ওয়াসীম আহম্মেদ
প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৯:৪১ ।
বগুড়ার খবর
পঠিত হয়েছে ৪৫ বার।

বিস্তীর্ণ স্কুলের মাঠ দখল করে বসানো হয়েছে গরুর হাট। উচ্চ আওয়াজে ক্রেতা বিক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে করা হচ্ছে মাইকিং। আর এতে শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ যেমন বিঘ্নিত হচ্ছে তেমনি খেলাধুলা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। বগুড়ার শিবগঞ্জের বুড়িগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ দখল করে লাগানো হয়েছে এই গরুর হাট। প্রশাসন বলছে, অতি শীঘ্রই হাট বন্ধে পরিপত্র জারি করা হবে।

স্থানীয়রা জানান, গত ৫ আগস্ট গণ অভ্যুথ্থানের পর বুড়িগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ দখল করে গরুর হাট বসান বর্তমান বুড়িগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ। এরপর থেকে প্রতি সোম ও শুক্রবার মাঠটিতে বেচাকেনা হচ্ছে গরু-ছাগল। বেলা ১১ টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে হাটের কার্যক্রম।

সরেজমিনে ঐ স্কুলে গেলে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাইফ রহমান জানান, স্কুল চলাকালীন সময়ে হাটের মাইক বাজে। উচ্চ আওয়াজের কারনে আমাদের ক্লাস করতে খুবই কষ্ট হচ্ছে।

দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাসেল রহমান বলেন, এসব বিষয়ে শিক্ষকদের বলেও কোন প্রতিকার পাইনি আমরা। এতো বড় মাঠ থাকতেও আমরা খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত। 

কথা হয় বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. মোস্তাফিজার রহমানের সাথে। এসময় তিনি জানান, হাটের পুরো অংশই বিদ্যালয়ের নিজেস্ব জায়গা। গরুর হাট লাগার কারনে পাঠদানে সমস্যা হলে স্থানীয় নানা কারনে আমরা বাঁধা দিতে পারছিনা।

বুড়িগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জানান, "আমি হাট লাগানোর কেউনা। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এখানে হাট লাগিয়েছে৷ তবে, ৪৩ বছর যাবৎ এখানে হাট বসে। তবে মাঝখানে ২/৩ বছর বন্ধ ছিলো। এক সময় হাটের টাকা দিয়েই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো।"

শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার জানান, বুড়িগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গরুর হাটের কথা আমার জানা নাই। তবে, কোন স্কুল মাঠে হাট লাগানো যাবেনা। আমরা এ ব্যাপারে শীঘ্রই পরিপত্র জারি করবো ও হাট বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।