বগুড়ায় ছাত্র আন্দোলনে নিহত সাব্বিরের মরদেহ দুই মাস পর উত্তোলন

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০২৪ ১৬:৫২ ।
প্রধান খবর
পঠিত হয়েছে ৮১ বার।

আদালতের নির্দেশে বগুড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেনের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। বুধবার দুপুর  একটার গাবতলী উপজেলার সুখানপুকুর ইউনিয়নের তেলীহাটা মধ্যপাড়া এলাকায় কবরস্থান থেকে তার মরদেহ তোলা হয়।

 

 

নিহত সাব্বির হোসেন গাবতলী উপজেলার তেলিহাটা মধ্যপাড়া এলাকায় শাহিন আলমের ছেলে। সে সুখানপুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মিলাদুন্নবী। 

 

 

এর আগে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর স্থানীয় লোকজনের সাথে আনন্দ মিছিলে অংশ নেয় সাব্বির। মিছিল শেষে বাড়ি ফেরার পথে সোনাতলা উপজেলার শিহিপুর এলাকায় পৌঁছালে তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। এরপর সাব্বিরের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করেছিল পরিবার।

 

 এ ঘটনার পর ১৫ আগস্ট নিহত সাব্বিরের বাবা শাহিন আলম বাদী হয়ে সোনাতলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে সারিয়াকান্দি-সোনাতলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান ও সোনাতলা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মিনহাদুজ্জামান লিটনসহ ২০ জন নামীয় ও অজ্ঞাত ২০/৩০ জনকে আসামি করা হয়।  মামলার তদন্তের স্বার্থে মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। 

 

 

মরদেহ উত্তোলনের সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু শাহমা ও সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিলাদুন্নবী। ময়নাতদন্ত শেষে তাদের তত্ত্বাবধানেই সাব্বিরের মরদেহ ফের দাফন করা হবে। 

 

 

 সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মিলাদুন্নবী বলেন, ‘সাব্বির হত্যাকান্ডের ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহতের বাবা। যেহেতু সেসময় ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহতের মরদেহ দাফন করেছিল পরিবার। তাই তদন্তপর স্বার্থে মরদেহটি ময়নাতদন্তের আদেশ দেন আদালত।  ময়নাতদন্তে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে এবং পুলিশ ও আদালত আইনগত পদক্ষেপ নেবেন।’