বগুড়ায় ছাত্র আন্দোলনে নিহত রিপনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন
স্টাফ রিপোর্টার
বগুড়ায় ছাত্র জনতার আন্দোলনে নিহত রিপন ফকিরের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে বগুড়া সদরের এরুলিয়া বানদিঘি ফকির পাড়া এলাকায় কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করে শজিমেক হাসপাতাল মর্গে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়। মৃত্যুর ৩ মাস ২০ দিন পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন কাজে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদমান আকিফ।এসময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বগুড়ার গোয়েন্দা পুলিশের এসআই আরিফুল ইসলাম, জাহিদ হাসানসহ পুলিশ সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদমান আকিফ বলেন, আদালতের নির্দেশে রিপনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে যথাযথ মর্যাদায় আবারও মরদেহ দাফন করা হবে।
এদিকে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রিপন ফকিরকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১০৪ জনের নাম উল্লেখ করে বগুড়া সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। ১৭ সেপ্টেম্বর নিহতের স্ত্রী মাবিয়া বেগম এই মামলা করেন।
মামলা অনুযায়ী গত ৪ আগষ্ট শহরের ২ নং রেল ঘুমটি ঝাউতলা এলাকায় ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন রিপন ফকির।
বগুড়া কোর্ট পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন জানান, রিপন হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিহতের মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ধারণের জন্য ২৮ অক্টোবর মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনে বগুড়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সদর আমলি আদালতে আবেদন করেন। পরে আদালতের বিচারক অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুকান্ত সাহা গত বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) আবেদন মঞ্জুর করেন।
মামলাগুলো সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মরদেহগুলো কবর থেকে উত্তোলনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বগুড়াকে নির্দেশ দিয়েছেন। সেইসঙ্গে মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে যথাযথ মর্যদায় পুনরায় দাফন করার জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়।