২০২৪ সালে সবচেয়ে বেশি গুগল করা দলের দুটিই মেসির
পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
ক্লাব ক্যারিয়ারের লম্বা সময় বার্সেলোনায় খেলেছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি। ইউরোপের ছায়া মাড়িয়ে তিনি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ক্লাব ইন্টার মায়ামিকে ঠিকানা বানিয়েছেন। সর্বোচ্চ আটবারের ব্যালন ডি’অরজয়ী এই মহাতারকার আগমনে যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবল জগৎ বদলে যাওয়ার খবরটি বেশ পুরোনো। এখন সেটি শুধু বদলে যাওয়াতেই আর আটকে নেই, যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবল এবং ইন্টার মায়ামি রীতিমতো দাপট দেখাতে শুরু করেছে।
সার্চ ইঞ্জিন গুগলে ২০২৪ সালে সবচেয়ে বেশি খোঁজ করা ফুটবল দলের তালিকাতেও এখন সবার ওপরে অবস্থান করছে মেসির ক্লাব ইন্টার মায়ামি। আর সব ধরনের খেলা বিবেচনায় নিলে মায়ামি আছে তিন নম্বরে।
এই তালিকায় অবশ্য মেসির একটি নয়, দুটি দল আছে। আরেকটি হচ্ছে মেসির জাতীয় দল আর্জেন্টিনা। এ বছর কোপা আমেরিকা জেতা আর্জেন্টিনা ফুটবল দল হিসেবে আছে তিন নম্বরে, সব মিলিয়ে অবস্থান আটে।
সম্মিলিত তালিকায় গুগল সার্চে সবচেয়ে দাপট দেখানো দুটি দলই মেজর লিগ বেসবলের (এমএলবি)। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সেই দল দুটি হচ্ছে নিউইয়র্ক ইয়াঙ্কিস ও লস অ্যাঞ্জেলেস ডজার্স। এই দুটি দলের পরই অবস্থান মায়ামির। গত মৌসুম অম্লমধুর কাটানো মায়ামি মেসির কারণেই মূলত বছরজুড়ে আলোচনায় ছিল। মেসির কারণেই যে মায়ামিকে গুগলে বারবার খোঁজা হয়েছে, তা আলাদা করে বললেও চলছে।
মায়ামির পর যে দলটি এ তালিকায় জায়গা পেয়েছে, সেটিও ফুটবল জগতের। গত মৌসুমে সবচেয়ে বেশি চমক জাগানো বায়ার লেভারকুসেন হচ্ছে সেই দল। জাবি আলোনসোর হাত ধরে গত মৌসুমে বুন্দেসলিগা জিতে সবাইকে চমকে দিয়েছিল লেভারকুসেন। কোনো ম্যাচ না হেরে ‘ইনভিন্সিবল’ থেকে লিগ জিতেছিল তারা। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কারণে ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে ক্লাবটিকে নিয়ে আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। যার প্রমাণ মিলছে গুগল সার্চে।
এই তালিকায় পরের তিনটি দল হচ্ছে ন্যাশনাল বেসবল অ্যাসোসিয়েশনের বোস্টন সেল্টিকস, মেজর লিগ বেসবলের নিউইয়র্ক মেটস এবং ন্যাশনাল বেসবল অ্যাসোসিয়েশনের ডালাস মাভেরিকস। ৮ নম্বরে আছে মেসির জাতীয় দল আর্জেন্টিনা।
বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দলটিকে নিয়েও ফুটবলপ্রেমীদের আগ্রহের বড় কারণ মেসি। গত জুলাইে কোপা আমেরিকার শিরোপা ধরে রাখার কীর্তিও এতে বড় ভূমিকা রেখেছে। শীর্ষে দশে থাকা শেষ দুটি দল যুক্তরাষ্ট্র বাস্কেটবলের মিনেসোটা টিম্বারউলভস এবং কানাডার আইস হকির এডমন্টন অয়েলার্স।