বগুড়ায় শ্রমিকলীগ কর্মীকে নিয়ে দোকান দখলে যুবদল নেতা: এলাকাবাসীর বিক্ষোভ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
প্রকাশ: ০৫ জানুয়ারী ২০২৫ ২০:৩৩ ।
বগুড়ার খবর
পঠিত হয়েছে ১৭৪ বার।

বগুড়ায় শ্রমিকলীগ কর্মীর হয়ে অবৈধভাবে দোকান দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে এক যুবদল নেতার বিরুদ্ধে। রবিবার দুপুর আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে শহরের চেলোপাড়ায় দীর্ঘদিন থেকে চলা বিবাদমান একটি দোকান দখল নিতে আসলে এলাকাবাসীর বিক্ষোভের মুখে পড়েন তারা।

অভিযুক্ত যুবদল নেতা হলেন হারুনুর রশিদ সুজন যিনি দক্ষিণ চেলোপাড়ার বাসিন্দা ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি। 

 

দলিল, খারিজ ও ওয়ারিশান মূলে এই জমির মালিকদের একজন ফরিদা ইয়াসমিন অভিযোগ করেন, তাদের পিতার মৃত্যুর পর উক্ত জমির মালিক তারা ৮জন ওয়ারিশ। কিন্তু অভিযুক্ত শ্রমিকলীগের কর্মী দিনু সকল ওয়ারিশগণকে না জানিয়ে তার ভাই পাভেল বেঁচে থাকতে তাকে অল্প কিছু টাকার বিনিময়ে একটি জাল দলিল সৃষ্টি করেন। যদি দিনু জমি পাইও তাহলে একজন ওয়ারিশের অংশে যতটুকু জমি যায় ততটুকুই পাবে। কিন্তু ২০২২ সাল থেকে কখনো তৎকালীন শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি রফি নেওয়াজ খান রবিন ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী, কখনো দিনুর নিজ গ্রামের দুর্নীতিবাজ মন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকের প্রভাবে প্রশাসনিক হয়রানি আবার কখনো সাংবাদিক সম্মেলনসহ মাঝে মধ্যেই সন্ত্রাসী হামলার মধ্য দিয়ে তিনি পুরো জমি দখল নেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। 

সর্বশেষ যুবদল নেতা হারুনুর রশিদ সুজন ও তার বাহিনী নিয়ে জোরপূর্বক চেলোপাড়ায় অবস্থিত তাদের মালিকানাধীন দোকান অবৈধভাবে দখলের চেষ্টা করেন অভিযুক্ত শ্রমিকলীগ কর্মী দিনু। এছাড়াও ন্যায়ের পক্ষে থাকার পরেও এই ঘটনায় বারবার দিনু ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী ৬ নং ওয়ার্ডের জনপ্রিয় কাউন্সিলর পরিমল চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে তার মানহানি ঘটাচ্ছে। ভুক্তভোগী হিসেবে তিনি যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।

 

এদিকে এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক বিক্ষোভে ফেটে পড়েন ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপি'র নেতৃবৃন্দসহ এলাকাবাসী। দুপুরে চেলোপাড়া শাপলা চত্বরে জড়ো হয়ে তারা অভিযুক্ত যুবদল নেতা হারুনুর রশিদ সুজনের বহিষ্কারের দাবি জানিয়ে বলেন, শ্রমিক লীগের সক্রিয় কর্মী দিনু শহর বিএনপি কার্যালয় পোড়ানোর মামলায় ১১৭ নং আসামী। অথচ যুবদল নেতা সুজন এই শ্রমিক লীগ কর্মীর হয়ে অবৈধভাবে প্রকাশ্য দিবালোকে জমি দখলের চেষ্টাই মেতে উঠেছেন যা বিএনপি ও এর সকল অঙ্গ সংগঠনের সকল নেতৃবৃন্দদের জন্য লজ্জার এবং দুঃখজনক। আর মামলার আসামী হওয়া সর্ত্ত্বেও দিনু কিভাবে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায় তা নিয়ে ক্ষোভ জানিয়ে অবিলম্বে তাকে গ্রেফতারের জন্য জেলা পুলিশের প্রতি আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দরা। এছাড়াও এলাকার জনপ্রতিনিধি হিসেবে ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নিলেও বিএনপির একজন ত্যাগী নেতা জনপ্রিয় সাবেক কাউন্সিলর পরিমল চন্দ্র দাস কে শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় মানহানি করার লক্ষ্যে এই গোষ্ঠী উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে মেতে উঠেছেন যা চেলোপাড়াবাসী শক্ত হাতে প্রতিহত করবেন। 

 

বিক্ষোভে এসময় উপস্থিত ছিলেন ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি বেলাল হোসেন নান্নু, বিএনপি নেতা কালাম শেখ, শাজাহান আলী সাজা, ফিরোজ হোসেন, শহিদুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম, হুমায়ুন কবির, সাবেক ছাত্রদল নেতা আবু জাফর জেমস, আব্দুল মান্নান, আবুল কালাম আজাদ, আব্দুস সালাম, সাবেক যুবদল নেতা আব্দুল মান্নান (ছোট), ৬ নং ওয়ার্ড শ্রমিকদল নেতা কান্তি দাস,  জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান মিল্লাত, ছাত্রদল নেতা সুলতান মাহমুদ, শ্রমিকদল নেতা এমদাদুল হক, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মানিক শেখ, মনিরুল ইসলাম বাপ্পি প্রমুখ।

 

এদিকে মুঠোফোনে অভিযুক্ত যুবদল নেতা হারুনুর রশিদ সুজনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে হওয়া সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন। অন্যদিকে এর আগে বগুড়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করা দিনুর সাথে উক্ত ঘটনা প্রসঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাৎক্ষণিকভাবে তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।