চুরির গরু দিয়ে ভূরিভোজ, বিএনপি নেতাকে দল থেকে অব্যাহতি

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ জানুয়ারী ২০২৫ ১৯:০৪ ।
দেশের খবর
পঠিত হয়েছে ২৪ বার।

জামালপুরের মাদারগঞ্জে গরু চুরি করে নেতা-কর্মীদের জন্য ভূরিভোজের আয়োজন করার অভিযোগে ইউনিয়ন বিএনপির এক নেতাকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মঞ্জুর কাদের বাবুল খান স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ অব্যাহতি দেয়া হয়।

অব্যাহতি পাওয়া ওই নেতার নাম মাহমুদুল হাসান চৌধুরী মুক্তা। তিনি মাদারগঞ্জ উপজেলার আদারভিটা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। 

অব্যাহতি চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, দলীয় ভাবমূর্তি ও মর্যাদা ক্ষুণ্ন করার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে আপনাকে আদারভিটা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে জেলা বিএনপির সম্মতিক্রমে সাময়িক অব্যাহতি প্রদান করা হলো।

একই সঙ্গে কেন আপনাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, এই মর্মে আপনার বক্তব্য আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মঞ্জুর কাদের বাবুল খানের কাছে উপস্থাপনের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।

উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মঞ্জুর কাদের বাবুল খান বলেন, ‘দলীয় ভাবমূর্তি ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে তাকে দলীয় পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।’

এদিকে এ ঘটনায় সুমন ও বজলু রহমান নামে দুই কসাইকে আটক করেছে পুলিশ।

গরুর মালিক জোড়খালি ইউনিয়নের খামার মাগুড়া গ্রামের এফাজ মন্ডল জানান, শুক্রবার রাতে ঘুম থেকে জেগে দেখেন তার গোয়াল ঘরে একটি ষাঁড় গরু নেই। এরপর থেকে পরিবারের লোকজনসহ গরুটি খোঁজ করতে থাকেন। এক পর্যায়ে মাহমুদুর রহমান মুক্তার বাড়ি গিয়ে বিরিয়ানির রান্নার আয়োজন দেখতে পান। এতে তার সন্দেহ হলে গরুর চামড়া ও মাথা দেখে গরুটি তার বলে নিশ্চিত হন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সুমন ও বজলু নামে দুইজন কসাইকে আটক করে। এ ঘটনায় গরুর মালিক এফাজ মন্ডল বাদি হয়ে ১২ জনকে আসামি করে মাদারগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা মহিলা দলের সমাবেশ উপলক্ষে বিএনপি নেতা মাহমুদুল হাসান মুক্তা তার বাড়িতে এই ভূরিভোজের আয়োজন করেন।