নামসর্বস্ব পত্রিকার সরকারি বিজ্ঞাপন বন্ধের সুপারিশ করবে কমিশন
পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
গণমাধ্যমের সবচেয়ে বড় অংশীদার পাঠক এবং দর্শক-শ্রোতা। অথচ, গণমাধ্যমের ওপর এই অংশীদারদের আস্থা প্রতিদিনই কমছে। কি কারণে এই আস্থা কমছে এবং গণমাধ্যম অংশীদারদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছে কি-না, সেটি খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন।
দেশের বিশাল সংখ্যক টেলিভিশন ও পত্রিকার দর্শক-পাঠক কতটা আছে সেই প্রশ্নের উত্তরও খোঁজা হচ্ছে। নামসর্বস্ব পত্রিকা বা অনলাইন পোর্টালের সরকারি বিজ্ঞাপন হাতিয়ে নেয়া বন্ধ করা, দর্শক ও শ্রোতাহীন টিভি রেডিও বন্ধ করাসহ, গণমাধ্যমের অনিয়ম দুর্নীতি থামাতে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ দিতে যাচ্ছে সংস্কার কমিশন।
রাজধানীতে মিডিয়া তালিকাভুক্ত পত্রিকার সংখ্যা ২৮৮টি। আর, সারাদেশে এই সংখ্যা ৩০২টি। অথচ ঢাকার দুটি হকার সমিতির একটি ৪৮টি এবং অন্যটি ৫৩টি পত্রিকা বিক্রি করে। তাহলে বাকি পত্রিকাগুলোর অস্তিত্ব কোথায়? কোন উদ্দেশ্যে সেগুলো প্রকাশ করা হচ্ছে এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন।
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ বলেন, কয়েক বছর আগেও এফএম রেডিওর বিপুল জনপ্রিয়তা ছিলো। কিন্তু এখন রেডিও জনপ্রিয়তা শূন্যের কোঠায়। এরিমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে দশটি এফএম রেডিও। এসব গণমাধ্যমের টিকে থাকা বা না থাকা নিয়েও ভাবছে কমিশন।
কামাল আহমেদ বলেন, ঋণ খেলাপির টাকায় বা কালো টাকা সাদা করতে গণমাধ্যমে বিনিয়োগ হচ্ছে কিনা সেটি খতিয়ে দেখা, গণমাধ্যমের স্বচ্ছতা রাখা এবং গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের আয় ব্যয়ের হিসাব দেয়ার মতো সুপারিশের কথাও ভাবছে কমিশন।
কমিশন প্রধান জানান, বিজ্ঞাপনের বাজার দখল করা নিয়ে গণমাধ্যমে অসুস্থ প্রতিযোগিতা আছে। যা কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানকে রুগ্ণ করে দিচ্ছে। এটি বন্ধের পাশাপাশি; মন্দ প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে ভালো প্রতিষ্ঠানকে উৎসাহ দেয়ার মতো প্রস্তাবনা দিতে যাচ্ছে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন।
উল্লেখ্য, বস্তুনিষ্ঠ, শক্তিশালী ও স্বাধীন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারের লক্ষ্যে ‘গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন’ গঠন হয় গত ১৮ নভেম্বর। প্রতিবেদন দেয়ার জন্য কমিশনকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময় দিয়েছে সরকার। তাই মার্চের শেষ সপ্তাহে প্রতিবেদন জমা দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন।