বিয়েবাড়ির গেটে পার্টি স্প্রে দেওয়া নিয়ে মারামারি, ভাঙলো বিয়ে

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ এপ্রিল ২০২৫ ১৫:৩২ ।
দেশের খবর
পঠিত হয়েছে ৩৭ বার।

বিয়ে উপলক্ষে কনের বাড়িতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন ছিলো। আত্মীয়, স্বজনসহ প্রতিবেশিরাও উপস্থিত ছিলেন। কনে পক্ষের খাওয়া- দাওয়া চলছিলো। উপহার সামগ্রী তুলে দিচ্ছিলো আমন্ত্রিতরা। বরসহ বরযাত্রী বরণের প্রস্তুতি চলছিলো। একপর্যায়ে বরসহ ১২০ জন বরযাত্রী আসলেন। গেটে তাদের বরণ করতে গিয়ে ঘটে বিপত্তি। 

 

কনেপক্ষ পার্টি স্প্রে ছিটিয়ে বরপক্ষকে বরণ করছিলো। মাত্রাতিরিক্ত পার্টি স্প্রে দেওয়ার অভিযোগ করে বরযাত্রীরা। শুরু হয় দুইপক্ষের তর্ক-বিতর্ক। একপর্যায়ে হাতাহাতি থেকে মারামারি শুরু হয়। লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় পুরো অনুষ্ঠান। বর বিয়ে না করেই সবাইকে নিয়ে বাড়ি ফিরে যায়। আনন্দের অনুষ্ঠান মুহূর্তে পরিণত হয় বিষাদে। ঘটনাটি ঘটেছে ভাঙ্গা উপজেলার কাউলিবেড়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের পুটিয়া গ্রামে।

 

কনের বাবা সাফেদ আলী মাতুব্বর বলেন, কয়েক মাস আগে আমার মেয়ের বিয়ে ঠিক করি সদরপুর উপজেলার চরব্রাহ্মন্দী গ্রামের তৈয়ব মোল্লার ছেলে প্রবাসী নাইম মোল্লার সঙ্গে। ওই সময় মোবাইলে কাবিন হয়। গত শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বিয়ের অনুষ্ঠান ছিলো। শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে স্প্রে ছিটানো নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি থেকে ঝামেলা হলো। 

 

তিনি আরও জানান, বরপক্ষ বিয়ের গেট, আসবাবপত্র ও খাবার দাবার তছনছ ও লণ্ডভণ্ড করে যায়। তাদের হাতে পায়ে ধরি যাতে বিয়েটা হয়। কিন্তু বরপক্ষ না খেয়ে সবকিছু নষ্ট করে চলে যায়। এমনকি আত্মীয়, স্বজন ও প্রতিবেশীদের দেওয়া উপহারের দুই লাখ ৩০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এ ছেলের সঙ্গে আমার মেয়ের আর বিয়ে হচ্ছে না।

 

কাউলিবেড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাজেদুল হক বলেন, খুবই দুঃখজনক ঘটনা। মেয়েটির বড় ক্ষতি হয়ে গেল। তার জীবন নষ্ট হয়ে গেল। বরপক্ষ ভাঙচুর ও লুটপাট চালালো। উপহারের টাকা পর্যন্ত নিয়ে গেল। খাবার না খেয়ে নষ্ট করে গেল।