বগুড়ায় যুবলীগ নেতাসহ ৩জনকে ছাড়িয়ে নিতে জামায়াত ইসলামীর নেতাকর্মীদের থানা ঘেরাওয়ের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ০৪ মে ২০২৫ ১৯:১৫ ।
প্রধান খবর
পঠিত হয়েছে ৪০১ বার।

সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় যুবলীগ নেতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে বগুড়ার নন্দীগ্রাম থানা পুলিশ। তাঁদের মুক্তির দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের নেতা-কর্মীরা রোববার সকালে থানার সামনে প্রায় আড়াই ঘণ্টা অবস্থান করেন।

গ্রেপ্তার তিনজন হলেন—নন্দীগ্রামের বুড়ইল ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম, সাবেক শ্রমিক লীগ কর্মী আতিকুল ইসলাম এবং ছাত্রশিবিরের কর্মী জাকারিয়া হোসেন। তাঁদের মধ্যে আতিকুল বর্তমানে জামায়াতের শ্রমিক শাখা জাতীয় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের স্থানীয় নেতা, আর জাকারিয়া শিবিরের ওয়ার্ড পর্যায়ের সেক্রেটারি।

 

পুলিশ জানায়, শনিবার রাতে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। রোববার সকাল ৯টার দিকে জামায়াত ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের নেতা-কর্মীরা থানায় এসে জানতে চান কেন তাঁদের আটক করা হয়েছে। পরে তাঁরা থানার বাইরে অবস্থান নিয়ে আসামিদের মুক্তির দাবিতে স্লোগান দেন। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে পুলিশ আদালতে চালান দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানালে তাঁরা চলে যান।

নন্দীগ্রাম থানার ওসি (তদন্ত) আবু মুসা সরকার বলেন, “তিনজনই সাংবাদিক নজরুল ইসলাম দয়ার ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। তাদের একজন, আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে আগের একটি মামলাও রয়েছে। গ্রেপ্তার তিনজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

সাংবাদিক নজরুল ইসলাম দয়া বর্তমানে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি জানান, জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে গত ৩০ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার দিকে নন্দীগ্রাম ফিলিং স্টেশনের সামনে তাঁর ওপর হামলা হয়। তিনি অভিযোগ করেন, যুবলীগ নেতা আব্দুর রহিমের নেতৃত্বেই এ হামলা হয়েছে।

এ ঘটনায় তাঁর মা নাজমা বিবি পরদিন সাতজনকে আসামি করে নন্দীগ্রাম থানায় মামলা করেন। এরপরই পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।

এ বিষয়ে জামায়াতের নন্দীগ্রাম পৌর শাখার সেক্রেটারি আব্দুল আলিম বলেন, “আমরা থানায় অবস্থান নিয়েছিলাম ঠিকই, তবে ঘেরাও করিনি। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়েও প্রশ্ন আছে। আব্দুর রহিম একসময় শিবির করতেন, এখন তাঁকে যুবলীগ নেতা বলা হচ্ছে—এটা বিভ্রান্তিকর।”