১১ মামলার আসামিকে হত্যা, লাশ ফেলতে এসে আটক ২

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৫ ২০:৩৫ ।
দেশের খবর
পঠিত হয়েছে ১২ বার।

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার পলোয়ানপোল এলাকার একটি খাল থেকে জাকির হোসেন (৩৮) নামের এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় মৃতদেহ ফেলতে আসা গাড়িটিকে ধাওয়ার করে দুইজনকে আটকের পর গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় লোকজন।


আটককৃতরা হলেন- সোনাইমুড়ি উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের নুরুল আমিনের ছেলে আবুল বাশার বাবু (৩৬), সিএনজি চালক সদর উপজেলার পশ্চিম মাইজপাড়া গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৩২)।

 

মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে বাংলা বাজার এলাকা থেকে তাদের আটক করে গণপিটুনি দেয় জনতা।


নিহত জাকির হোসেন সোনাইমুড়ি উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের হাসানপুর গ্রামের রফিক উল্যাহ মেস্ত্রীর ছেলে। তিনি স্থানীয় সন্ত্রাসী জাকির গ্রুপের প্রধান বলে জানিয়েছে পুলিশ।


স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে সোনাইমুড়ি উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের সোনাপুর বিএনপির নজরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির একটি ভেকু মেশিন (মাটি কাটার মেশিন) পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠে সন্ত্রাসী জাকিরের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর কয়েকজন দুর্বৃত্ত একটি সিএনজিযোগে জাকিরের বাড়িতে গিয়ে তাকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে বিকালে সিএনজি থেকে পার্শ্ববর্তী বেগমগঞ্জ উপজেলার পলোয়ানপোল এলাকার খালের মধ্যে জাকিরের মৃতদেহ ফেলে দেওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন বিষয়টি দেখতে পায়। এ সময় সিএনজিটি ধাওয়া করে এবং বাংলাবাজার এলাকায় গিয়ে আবুল বাশার বাবু ও আনোয়ার হোসেনকে গণপিটুনি দিয়ে বেঁধে রাখে।


খবর পেয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের আটক করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। একইসঙ্গে খাল থেকে জাকিরের মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।


সোনাইমুড়ি থানার ওসি মোর্শেদ আলম বলেন, নজরুলের সঙ্গে জাকিরের ঝামেলার কথা আমরাও শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে, তারা ফিরে আসলে বিস্তারিত জানা যাবে। নিহত জাকিরের বিরুদ্ধে হত্যা, ছিনতাইসহ বিভিন্ন ঘটনায় সোনাইমুড়ি থানায় ১১টি মামলা রয়েছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে অন্য থানায় মামলা রয়েছে বলেও জানান ওসি।


বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান বলেন, লাশ নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আটক দুইজনকে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।