বগুড়ায় চাকরিজীবীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা, গ্রেপ্তার ৫
স্টাফ রিপোর্টার
বগুড়ার শাজাহানপুরে চাকরি শেষে বাসায় ফেরার পথে ছুরিকাঘাতে নিহত হন বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম (২২)। ঘটনার চার দিন পর এই ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচজনই বগুড়া শহরের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। তাঁরা হলেন—
শহরের কৈগাড়ী পূর্বপাড়া এলাকার মো. কামাল (২৬), গণ্ডগ্রাম উত্তরপাড়া এলাকার মো. জীবন (২৩), মালগ্রাম মধ্যপাড়া এলাকার শহীদ জাকারিয়া শেখ (২৫), চক লোকমান কলোনি এলাকার আকরাম শেখ (৩৫) এবং গণ্ডগ্রাম (সারিয়াকান্দি রোড) এলাকার মোহাম্মদ জনি (২৮)। শনিবার সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বগুড়া জেলা পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতোয়ার রহমান।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ১ জুন রাতে অফিস শেষ করে সাইফুল ইসলাম পেপসি কোম্পানির ভেতর থেকে বেরিয়ে গণ্ডগ্রামের ভাড়া বাসায় ফিরছিলেন। পথিমধ্যে কোনো এক স্থানে পূর্বপরিকল্পিতভাবে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা তাঁকে ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যায়। ওইদিন রাত ১২টা ১০ মিনিটের দিকে এক রিকশাচালক শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুরিকাহত অবস্থায় এক যুবককে নিয়ে যান। চিকিৎসক কিছুক্ষণ পর তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পরিচয় না পেয়ে বেলা ১২টার দিকে বিষয়টি সদর থানাকে জানায়।
পরে পিবিআই, নওগাঁ জেলার সহায়তায় ভিকটিমের ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য যাচাই করে জানা যায়, নিহত ব্যক্তি চট্টগ্রামের পটিয়ার বাকখাইন গ্রামের মো. সাইফুল ইসলাম। তিনি বগুড়ার গণ্ডগ্রামে থেকে এএইচ খাঁন কোম্পানি লিমিটেডে এরিয়া ম্যানেজার হিসেবে চাকরি করতেন।
পরদিন তাঁর ছোট ভাই বাদী হয়ে শাজাহানপুর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
পুলিশ কর্মকর্তা আতোয়ার রহমান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
তিনি আরও জানান, হত্যাকাণ্ডের পেছনে পূর্বশত্রুতা কাজ করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে আরও তথ্য উঠে আসবে।