বগুড়ায় গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৫ ১৭:৩৯ ।
বগুড়ার খবর
পঠিত হয়েছে ১১৪ বার।

বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় সুমাইয়া আক্তার (৩১) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৫ জুন) সকালে উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের রহিমাবাদ শালুকগাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত সুমাইয়া উপজেলার আশেকপুর ইউনিয়নের পারতেখুর মধ্যপাড়া গ্রামের জাকারিয়া ইসলামের মেয়ে এবং মাঝিড়া ইউনিয়নের ডোমনপুকুর টিকাদারপাড়া এলাকার মৃত নজমল হকের ছেলে আমিনুল ইসলাম বাপ্পির স্ত্রী।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত সুমাইয়া প্রায় চার মাস ধরে রহিমাবাদ শালুকগাড়ি গ্রামের ওয়াহেদ আলীর বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছিলেন। বাড়ি ভাড়া নেওয়ার সময় রাজু নামের এক ব্যক্তি নিজেকে তার স্বামী এবং রাকিব নামের এক যুবক ভাতিজা পরিচয় দেন। এর পর থেকে রাজু ও রাকিব নিয়মিত সুমাইয়ার বাসায় যাতায়াত করতেন।

বাড়ির মালিক ওয়াহেদ আলী জানান, সোমবার সন্ধ্যার আগে তিনি সুমাইয়াকে রাজুর সঙ্গে কথা বলতে দেখেন। এরপর মঙ্গলবার সারাদিন ও রাতভর কোনো সাড়া না পেয়ে এবং ঘরের দরজা-জানালা ভেতর থেকে বন্ধ দেখে সন্দেহ হয়। বুধবার সকাল সোয়া ৬টার দিকে তিনি বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য তাজুল ইসলামকে জানান। ইউপি সদস্য থানা পুলিশে খবর দিলে স্থানীয়দের সহায়তায় জানালা খুলে ঘরের তীরে সুমাইয়ার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান তারা।

পরে দুপুর ১২টার দিকে শাজাহানপুর থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

সুমাইয়ার ছোট ভাই কাওসার আহমেদ অভিযোগ করেন, রাজু ও তার সহযোগীরা সুমাইয়াকে দিয়ে মাদক বিক্রি করাতো। বিষয়টি জানার পর তিন মাস আগে তিনি সুমাইয়াকে এ কাজ থেকে বিরত থাকতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রাজু ও তার সহযোগীরা সুমাইয়াকে মারধর করে।

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোস্তফা মঞ্জুর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

শাজাহানপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুদ করিম জানান, সুমাইয়ার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু (ইউডি) মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।