বগুড়ায় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে পা হারালো শ্রমিক, বিচার দাবি 

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৫ ১৭:৪৪ ।
বগুড়ার খবর
পঠিত হয়েছে ১২ বার।

বগুড়া শহরের ফুটপাতে দোকান বসানোর জেরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে আহত কাটনারপাড়ার লেদ শ্রমিক নাজমুলের (১৬) ডান পা কেটে ফেলা হয়েছে। বর্বরোচিত হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। 

বুধবার দুপুরে শহরের সাতমাথায় আয়োজিত মানববন্ধনে পুলিশের তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বক্তারা। গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্নের জবাবে উপস্থিত সবাই আবেগাপ্লুত ছিলেন। ব্যানারের কাছে বসে ছিলেন ছুরিকাঘাতে পঙ্গু হওয়া নাজমুল। সে থমকে থমকে বলছিল, আমার এক পা কেটে ফেলেছে। প্রতিবন্ধী হয়ে গেছি, সংসারের হাল ধরতে গিয়ে বোঝা হয়ে গেলাম। দরিদ্র বাবা-মায়ের এক ছেলে ও এক মেয়ে। ভাই পঙ্গু হলে সংসারও পঙ্গু হয়ে যায়। লেদে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন নাজমুল। সে শহরের উত্তর কাটনারপাড়া হটু মিয়া লেনের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। 

সন্ত্রাসী হামলার বর্ণনা দিতে গিয়ে অঝোরে কেঁদে ওঠেন মা নাদিরা বেগম ও দাদী জাহানুর বেওয়া। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কাটনারপাড়ার সালমান ইসলাম, তরিকুল ইসলাম, চাচা আমিনুল ইসলাম, ইউসুফ মন্ডল, আদর শেখ, চাচাতো ভাই আসিফ মন্ডল, রানা শেখ, সাগর হোসেন ও ফুফু রুমি বেগম। 

গত ১৫ মে শহরের সাতমাথা এলাকায় দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে সুলতানগঞ্জপাড়া এলাকার নতুন ব্রীজের মোড়ে লেদ শ্রমিক নাজমুলকে ছুরিকাঘাত করা হয়। তার ডান পায়ের পেছনে রণকাটা গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে প্রতিপক্ষরা। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় আহত নাজমুলের দাদী জাহানুর বেওয়া বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনের বিরুদ্ধে ১৬ মে বগুড়া সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে নাজমুলের শরীর থেকে ডান পা কেটে বিচ্ছিন্ন করা হয় বলে জানিয়েছে পরিবার।