এক দিন পর ভেসে এল বগুড়ার আসিফের লাশ, নিখোঁজ ১

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫ ১২:২১ ।
বগুড়ার খবর
পঠিত হয়েছে ১৬০ বার।

কক্সবাজারের হিমছড়ি সৈকত এলাকায় সাগরে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হওয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার সকাল আটটার দিকে জেলার নাজিরারটেক সৈকত থেকে আসিফ আহেমদ (২২) নামের ওই শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়। আসিফ বগুড়া জেলার নারুলি দক্ষিণের বাসিন্দা রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের প্রথম বর্ষ ছাত্র ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মো. ফরহাদ হোসেন হলে থাকতেন তিনি।

 

 

গতকাল মঙ্গলবার সকালে কক্সবাজার শহর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরের হিমছড়ি সৈকতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী। পরে সকালে সাড়ে নয়টার দিকে এ কে এম সাদমান রহমান নামের এক শিক্ষার্থীর লাশ ভেসে আসে। এক দিন পর আসিফের লাশ ভেসে এলেও এখনো নিখোঁজ রয়েছেন অরিত্র হাসান (২২) নামের আরও এক শিক্ষার্থী। তিনি বগুড়ার দক্ষিণ ঠনঠনিয়া গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে। অরিত্র চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একই বিভাগ ও আবাসিক হলের শিক্ষার্থী ছিলেন।

 

আসিফের লাশ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী। বেসরকারি সি-সেফ লাইফ গার্ড প্রতিষ্ঠানের আঞ্চলিক পরিচালক ইমতিয়াজ আহমেদ ঘটনাস্থল থেকে  বলেন, আজ সকাল আটটার দিকে কক্সবাজার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের নাজিরারটেক উপকূলের সৈকতে ২০-২৫ বছর বয়সী এক তরুণের লাশ ভেসে আসে। তাঁর পরনে সাদা টি–শার্ট ও হলুদ হাফ প্যান্ট রয়েছে।

 

উদ্ধার হওয়া লাশের ছবি দেখে তা আসিফের বলে শনাক্ত করেন তাঁর সহপাঠী মাহমুদুল হাসান। তিনি বলেন, ‘ছবি দেখে আমি নিশ্চিত হয়েছি, লাশটি আসিফের। বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছি’। মাহমুদুল হাসান জানান, আসিফের সঙ্গে সর্বশেষ তাঁর গত সোমবার বেলা পৌনে দুইটায় কথা হয়েছিল। তাঁরও একসঙ্গে বেড়াতে যাওয়ার কথা ছিল। প্রথমে তাঁরা বান্দরবানের মিরিঞ্জা ভ্যালিতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। তবে যেতে যেতে সন্ধ্যা হয়ে যেতে পারে, এ কারণে শেষ মুহূর্তে কক্সবাজার যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আসিফ।

 

মাহমুদুল হাসান আরও বলেন, ‘আমি আসিফকে বলেছিলাম, টাকা নেই এ কারণে যাব না। পরে আসিফই আমাকে টাকা দেবে বলে জানিয়েছিল। তবে আমার কক্সবাজার যাওয়ার ইচ্ছা ছিল না। এ কারণে পরিকল্পনা বাতিল করি। এরপর আমাকে ছাড়াই আসিফরা গিয়েছিল। আসিফ আমাকে বলেছিল, যা–ই হোক, আজকে ট্যুরে যাব।’

 

নিখোঁজ আরেক শিক্ষার্থী অরিত্রকে উদ্ধারের বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক তানহারুল ইসলাম বলেন, সাগর এত উত্তাল যে সেখানে ডুবুরি নামাও কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্রোতের টানও অনেকে বেশি। তবু নিখোঁজ আরেক শিক্ষার্থীকে উদ্ধারে তৎপরতা চলছে।