এসএসসিতে রাজশাহী বোর্ড সেরা এবং সারাদেশে ২য় দৃষ্টিকে সংবর্ধনা দিল বগুড়া বিএএফ শাহীন কলেজ কর্তৃপক্ষ
স্টাফ রিপোর্টার
এসএসসিতে বোর্ড সেরা আর সারাদেশে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্তি। অভাবনীয় এমন ফলাফলে সবার দৃষ্টি কেড়েছে বগুড়ায় বিমান বাহিনী পরিচালিত বিএএফ শাহীন কলেজের শিক্ষার্থী স্বর্ণালী আক্তার দৃষ্টি। নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর কৃতিত্বপূর্ণ এই অর্জনকে স্মরণীয় করে রাখতে রবিবার সবংর্ধনার আয়োজন করেছিলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। সেখানে এবার এসএসসি উত্তীর্ণ মোট ৯৭জন শিক্ষার্থীকে ব্যান্ডের তালে তালে ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। তবে ওই অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণই যেন ছিল স্বর্ণালী আক্তার দৃষ্টি। কারণ সে এবার ১২৮৩ নম্বর পেয়েছে।
স্কুল কর্তৃপক্ষ বলছেন, দৃষ্টি এবার এসএসসিতে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে সর্বোচ্চ নম্বরের রেকর্ড গড়েছে। পাশাপাশি সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্তিতে সারাদেশেও সে দ্বিতীয় স্থান দখল করেছে। ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ১৪টি বিষয়ের মধ্যে দৃষ্টি ৭টিতেই শতভাগ নম্বর পেয়েছে। বাকি ৭টির মধ্যে ইংরেজিতে গড়ে ৯৯ দশমিক ৫ আর বাংলায় ৯৮ দশমিক ৫ করে নম্বর পেয়েছে। এছাড়া ইসলাম ধর্ম এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে ১০০ এবং ৫০-এর মধ্যে মাত্র দুই নম্বর করে কম পেয়েছেন। আর সবচেয়ে কম ৯১ নম্বর পেয়েছেন বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ে। এ নিয়ে শিক্ষক ও সহপাঠীদের আক্ষেপের যেন শেষ নেই। তারা বলছেন, ওই বিষয়ে দৃষ্টি যদি আর ৫ নম্বর বেশি পেত তাহলে সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্তিতে সে দেশ সেরা হতো।
তবে তাতে আক্ষেপ নেই স্বর্ণালী আক্তার দৃষ্টির। সে তার ফলাফল নিয়ে সন্তুষ্ট। বলেছে, সে আগামীতে আরও ভাল করতে চায়। কিভাবে কৃতিত্বপূর্ণ এমন ফলাফল অর্জিত হলো-এমন প্রশ্নের জবাবে সে, স্মিত হেসে বলেছে, নিয়মিত পড়াশোনা আর স্কুল কর্তৃপক্ষের তদারকির কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে।
স্বর্ণালী আক্তার দৃষ্টি বলেন, 'আমি বড় হয়ে একজন চিকিৎসক হতে চাই। আমি চাই সবার সেবার মাধ্যমে নিজের জীবন গড়তে। প্রতিদিন স্কুলের সময়ের বাইরেও আমি ৫/৬ ঘণ্টা পড়তাম। ভালো ফলাফলের জন্য বোর্ড বইয়ের কোন বিকল্প নেই।'
বগুড়া বিএএফ শাহীন কলেজ থেকে এবারের এসএসসিতে আরও বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ১২০০-এর বেশি নম্বর অর্জন করেছে। তারাও আগামীতে আরও ভাল ফলাফলে আশাবাদী।
বিএএফ শাহীন কলেজের অধ্যক্ষ গ্রুপ ক্যাপ্টেন সান্তনু চৌধুরী বলেন, স্বর্ণালী আক্তার দৃষ্টির কৃতিত্বপূর্ণ অর্জনে তারা খুবই আনন্দিত। তার এই অর্জন ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের আরও অনুপ্রাণিত করবে। পাঠদানের ক্ষেত্রে তারা প্রতিটি শিক্ষার্থীর প্রতি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন।