গেটম্যান নিয়োগের দাবিতে

বগুড়া আজিজুল হক কলেজের সামনে শিক্ষার্থীদের রেলপথ অবরোধ

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৫ ১৯:৫৫ ।
বগুড়ার খবর
পঠিত হয়েছে ১৮ বার।

বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজের সামনে ও ওয়াপদা ফটকের অরক্ষিত লেভেল ক্রসিংয়ে গেটম্যান নিয়োগ ও অনুমোদিত রেলগেট নির্মাণের দাবিতে রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।  সোমবার সকাল ১০টা থেকে ‘সাধারণ শিক্ষার্থী’ ব্যানারে এ আন্দোলন শুরু হয়।

অবরোধের ফলে ঢাকা-লালমনিরহাট ও সান্তাহার-লালমনিরহাট রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। লালমনিরহাট থেকে ছেড়ে আসা ২০ ডাউন মেইল ট্রেনটি বগুড়া রেলস্টেশনে এবং সান্তাহার থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী আন্তনগর দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস ট্রেনটি অপর পাশে আটকা পড়ে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, কলেজ সংলগ্ন ও ওয়াপদা ফটকের অরক্ষিত রেলক্রসিংগুলো দীর্ঘদিন ধরেই প্রাণঘাতী ঝুঁকির সৃষ্টি করছে। সেখানে গেটম্যান না থাকায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ গত ৬ জুলাই বিকেলে ওয়াপদা ফটকে রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে সরকারি আজিজুল হক কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাকিব হোসাইন মোস্তাকিম নিহত হন।

ঘটনার দিন খেলাধুলা শেষে মোটরসাইকেলে ক্যাম্পাস থেকে ফেরার পথে অরক্ষিত রেলক্রসিং পার হতে গিয়ে আটকে পড়েন রাকিব। তখন সান্তাহার থেকে ছেড়ে আসা বোনারপাড়াগামী কমিউটার ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।

শিক্ষার্থীরা জানান, এর আগেও তাঁরা মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচি ও স্মারকলিপির মাধ্যমে দাবি জানিয়ে আসলেও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী জাকির হোসেন বলেন, সরকারি আজিজুল হক কলেজে প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষার্থী পড়েন। প্রতিদিন হাজারো শিক্ষার্থী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওই রেলক্রসিং পার হয়ে কলেজে যাতায়াত করেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ এখনো গেটম্যান নিয়োগে উদ্যোগ নেয়নি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে রেলওয়ের লালমনিরহাট বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) আবু হেনা মোস্তফা আলম বলেন, বগুড়া-সান্তাহার রেলপথে অন্তত ১০টি অনুমোদনহীন লেভেল ক্রসিং রয়েছে। এর মধ্যে আজিজুল হক কলেজ ও ওয়াপদা ফটকের দুটি অন্যতম। প্রতিটি রেলক্রসিংয়ে গেটম্যান, বিশ্রামাগার ও বেরিয়ার প্রয়োজন। বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষ। শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। আপাতত কলেজ চলাকালে অস্থায়ী ভিত্তিতে একজন করে গেটম্যান নিয়োগের প্রস্তাব দেওয়া হবে।