নওগাঁর পোরশায় অতিমাত্রা আগাছা নাশক স্প্রে করে ১০ বিঘা জমির আমন ধান বিনষ্ট
নওগাঁ প্রতিনিধি
নওগাঁর পোরশা উপজেলার মুর্শিদপুর ইউনিয়নের খড়পা গ্রামের মাঠে ৭ কৃষকের আমন ধানের ক্ষেতে অতিমাত্রার আগাছা নাশক কীটনাশক স্প্রে করে প্রায় দশ বিঘা জমির ধান বিনষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।
এই ঘটনায় বুধবার সকালে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ওই ইউনিয়নের কৃষি কর্মকর্তাও ঘটনা সততা নিশ্চিত করেছে।
অভিযোগে জানা গেছে ওই গ্রামের জামাল, সায়েম, কালাম, সালাম ও আবু সাঈদ সহ ৭ জন প্রায় তিন থেকে চার বছর ধরে ওই জমিগুলো বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করে আসছে। চলতি মৌসুমেও ওইসব জমিতে আমনের স্বর্না-৫ জাতের ধান রোপন করেছেন। আর দেড়-দুই মাস পর ওইসব ধান তাদের ঘরে উঠার কথা। কিন্তু তার আগেই গত কয়েকদিন ধরে রাতের আঁধারে প্রতিপক্ষের লোকজন ধান গাছে অতিমাত্রার আগাছা নাশক কীটনাশক স্প্রে করে। এতে তরতাজা সবুজের ধানক্ষেত গুলো হলুদের পরিণত হয়ে গেছে। বর্গা চাষীদের মধ্যে আবু সাঈদ, জামাল ও কালাম জানান গতকাল মঙ্গলবার ধানের খেতে গিয়ে দেখা গেছে সব ধানের গাছ শুকিয়ে গেছে। ধানের শীষগুলো চিতায় পরিণত হয়েছে। এতে তাদের প্রায় আড়াই লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।
বর্গা চাষীদের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে এলাকার আব্দুল মান্নান চৌধূরী, আব্দুল লতিফ ও ইসমাঈল হোসেন এর সাথে ওই জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এই বিরোধকে কেন্দ্র করে তাদের লোকজন রাতের বেলায় জমিগুলোর ধানে অতিমাত্রার কীটনাশক ব্যবহার করে আমন ধানের ক্ষেত বিনষ্ট করেছে। এতে আমাদের আড়াই থেকে তিন লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এই ঘটনায়আব্দুল মান্নান চৌধুরী, আব্দুল লতিফসহ ১০ থেকে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি অভিযোগ করেছি। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক অপরাধিদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে বিচারের দাবী করছি।
এদিকে বিষয়টি জানার পর উপজেলার মর্শিদপুর ইউনিয়নের উপসহকারি কৃষি অফিসার সেলিম রেজা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,জমিতে আগাছা নাশক কীটনাশক স্প্রে করা হয়েছে। এতে জমির প্রায় ৭০ শতাংশ ধান নষ্ট হয়ে গেছে। ধানের গাছে বেশি পরিমান পানি দিয়ে স্প্রে করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বিঘায় যেখানে ২০-২২ মন ফলন হওয়ার কথা ছিল সেখানে ৫-৭ মন ফলন হতে পারে। মানুষে মানুষে দ্বন্দ্ব থাকতে পারে। কিন্তু ফলস নষ্ট করা মোটেও ঠিক হয়নি বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে প্রতিপক্ষের আব্দুল মান্নান চৌধুরী বলেন, ওই জমি আমার চাচাতো ভাইদের। তারা নওগাঁ শহরে বসবাস করে এবং ওই জমি দেখভাল করে।যারা অভিযোগ করছে তারাই জমি দখল করে ধান রোপন করেছে। প্রতিপক্ষকে ফাসাতে তারাই এই ঘটনা ঘটাতে পারে বলে দাবী করেন।
এ ব্যাপারে পোরশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিন্টু রহমান অভিযোগ পাওয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন বলেন-বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে, সত্যতা পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।