বগুড়ায় স্ত্রী ও খালাতো ভাইয়ের প্রেমের বলি জহুরুল
স্টাফ রিপোর্টার
বগুড়ায় বেকারি ব্যবসায়ী জহুরুল হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। অবৈধ সম্পর্কের জেরে স্ত্রী শামিমা আক্তার ও পরকীয়া প্রেমিক খালাতো ভাই বিপুল মিলে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের তদন্তে নিশ্চিত হওয়ার পর এ ঘটনায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার শামিমা আক্তার (৩০) বগুড়া সদর উপজেলার নুনগোলা ইউনিয়নের শাহীনুর রহমান তালুকদারের মেয়ে। অপর গ্রেপ্তার বিপুল (৩৭) একই ইউনিয়নের অন্তাহার গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে।
বুধবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মঞ্জুর।
এর আগে, গত ৪ নভেম্বর সকালে নুনগোলা ইউনিয়নের হাজরাদিঘী তালুকদার পাড়ার ধানক্ষেত থেকে বেকারি ব্যবসায়ী জহুরুলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মঞ্জুর বলেন, জহুরুল ইসলাম ও বিপুল আপন খালাতো ভাই। ছোট বেলা থেকেই বিপুল ও শামিমা একে অপরকে পছন্দ করতো। জহুরুলের সাথে বিয়ে হওয়ার পরেও তাদের সম্পর্ক চলমান ছিল। ৩ অক্টোবর রাতে জহুরুলকে হত্যার পরিকল্পনা করে৷ পরিকল্পনা অনুযায়ী রাতে দুধের সাথে ১৫টি ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে জহুরুলকে অচেতন করেন শামিমা। পরে বিপুল বাড়িতে ঢুকে বাইরে নিয়ে আসে জহুরুলকে। পাশেই অর্ধনির্মিত বাড়িতে নিয়ে যেয়ে মাথায় আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে তারা। পরদিন সকালে বাড়ির সামনে ধানক্ষেত থেকে তার লাশ উদ্ধার করে সদর থানা পুলিশ।
ঘটনার পর নিহতের মামা এবং শামিমার বাবা শাহীনুর রহমান তালুকদার বাদী হয়ে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তার দু’জনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।