বগুড়ায় বিড়াল হত্যায় অভিযুক্ত সেই নারী গ্রেপ্তার: এবার বটি নিয়ে গ্রামবাসীকে ধাওয়া
স্টাফ রিপোর্টার
বটি দিয়ে বিড়ালকে হত্যার সঙ্গে জড়িত বুলবুলি বেগম নামে এক নারীকে শুক্রবার পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। জেলার আদমদীঘির দত্তবাড়িয়া গুচ্ছ গ্রাম এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুলবুলি বেগম ওই গ্রামের খোকা মন্ডলের মেয়ে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বুলবুলি বেগমকে বিড়াল হত্যা নয় বরং ধারালো বটি নিয়ে গ্রামবাসীকে ধাওয়া করার অভিযোগ পাওয়ার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আদমদীঘি থানার ওসি এস এম মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বিড়াল হত্যায় তার বিরুদ্ধে দায়ের করা জিডির ভিত্তিতে অভিযোগটি তদন্তের জন্য আদালতের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। অনুমতি পেলে পুরো বিষয়টি তদন্ত করা হবে।
স্থানীয়রা জানান, বুলবুলি বেগম গত ৪ নভেম্বর বটি দিয়ে একটি বিড়ালকে জবাই করে হত্যা করে। বিষয়টি জানার পর ঢাকা অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়ানের সদস্য এমরান হোসেন গত ৫ নভেম্বর আদমদীঘি থানায় জিডি করেন। তাতে বলা হয়, একটি বিড়াল বুলবুলি বেগমের বাড়িতে ঢুকে রান্না করা মাছ খেয়ে ফেলে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বুলবুলি ক্ষিপ্ত হয়ে বিড়ালটিকে ধারালো বটি দিয়ে জবাই করে হত্যার পর ধান ক্ষেতে ফেলে দেন। এটি জানার পর শামছুন্নাহার নামে প্রতিবেশী এক নারী বিড়ালটির ছিন্নভিন্ন দেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নেন এবং বরফ দিয়ে বিড়ালের মৃতদেহ সংরক্ষণের পর স্থানীয় পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ মৃত বিড়ালটির ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়ে দেয়।
আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম মোস্তাফিজুর রহমান জানান, নসরতপুর দত্তবাড়িয়া গুচ্ছগ্রামের বুলবুলি নামের ওই নারী তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাতে ধারালো বটি নিয়ে শুক্রবার গুচ্ছগ্রামের লোকজনের পিছনে ধাওয়া করছে। বিষয়টি ৯৯৯ নম্বরে মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে থানার উপ-পরিদর্শক হজরত আলী ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে যান এবং উক্ত নারীকে উত্তেজিত অবস্থায় ধারালো বটিসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
বুলবুলিকে বিড়াল হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে কি’না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মূলত ধারালো অস্ত্র নিয়ে মানুষের দিকে তেড়ে যাওয়ার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুলবুলি বদমেজাজী এক নারী। ধারণা করা হচ্ছে তার মানসিক সমস্যা রয়েছে।
আর বিড়াল হত্যার বিষয়ে একটি জিডি হয়েছে। সেটি তদন্তের জন্য আদালতের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। এখনও অনুমতি পাওয়া যায়নি। তাছাড়া মৃত বিড়ালের ময়না তদন্ত রিপোর্টও এসে পৌঁছায়নি। আদালতের অনুমতি পেলেই বিড়াল হত্যার অভিযোগটি তদন্ত করা হবে।