একডালা হরেক রকম পিঠার আয়োজনে আকবরিয়া
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
হিম হিম শীতের সকালে কনকনে ঠান্ডার মাঝে বাঙালির মনে জাগে এক অন্যরকম উষ্ণতা। কাকডাকা ভোর থেকে কাঙ্ক্ষিত সূর্যের উষ্ণ পরশ পাওয়ার অপেক্ষা, কুয়াশা ভেদ করে ধীরে ধীরে আলোকিত হয়ে ওঠা পূর্বাকাশ সব মিলিয়ে শীতের সকাল হয়ে ওঠে অনন্য সুন্দর। চোখে তখনও ঘুমের আবেশ, সময়ের হিসাব মিলিয়ে নিতে কষ্ট হয়। এই শীতের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে গ্রামবাংলার চিরচেনা ঐতিহ্য পিঠাপুলির উৎসব।
একসময় ঘরে ঘরে সারারাত ধরে পিঠা বানানোর যে ব্যস্ততা দেখা যেত, তা আজ অনেকটাই স্মৃতির পাতায় বন্দি। তবু হারিয়ে যেতে বসা গ্রামবাংলার সেই স্বাদ ও আবেগকে শহুরে জীবনে নতুন করে ফিরিয়ে আনতে একডালা হরেক রকম পিঠার সমারোহ নিয়ে হাজির হয়েছে আকবরিয়া।
শীত মানেই পিঠা। এটি বাঙালির বহু প্রজন্মের লালিত সংস্কৃতি। শীতের রাতে মায়েরা জেগে জেগে পিঠা বানাতেন, বাবারা ভোরবেলা সেই পিঠার হাঁড়ি নিয়ে ছুটে যেতেন মেয়ের বাড়িতে। মেয়ের বাড়িতে পৌঁছানো পর্যন্ত মায়ের চোখে থাকত উৎকণ্ঠা আর আত্মতৃপ্তির মিশ্র অনুভূতি। পারিবারিক বন্ধন আর সামাজিক সম্পর্কের দৃঢ়তার প্রতীককে বাস্তবায়নে এক ডালায় হরেক রকম পিঠার আয়োজন করেছে আকবরিয়া। ফলে আর নির্ঘুম রাত জেগে পিঠা বানাতে হয় না বধূদের। গ্রাম আর শহুরে জীবনযাত্রায় আকবরিয়ার পিঠার আয়োজন করেছে চিন্তামুক্ত এবং পৌঁছে দেয় মনের প্রশান্তির বার্তা। শীতের পূর্ণতা পেতে গ্রাম ও শহরের জীবনযাত্রায় পিঠার গুরুত্ব অনেক হলেও সেটি মিটিয়ে দিচ্ছে সহজভাবে আকবরিয়া।
আকবরিয়ার পিঠার আয়োজনে পাওয়া যাচ্ছে পাটিশাপটা, দুধ পিঠা, দুধ-কুশলী পিঠা, ভাপা পিঠা, কুশলী পিঠা, খাস্তা, তেলপিঠা, চিতই, খেজুর পিঠাসহ নানা স্বাদের ঐতিহ্যবাহী পিঠা। সম্পূর্ণ গ্রামীণ স্বাদে, সাশ্রয়ী মূল্যে ও মানুষের হাতের নাগালে এসব পিঠা পৌঁছে দিচ্ছে তারা। ফলে আবালবৃদ্ধবনিতা সবার অংশগ্রহণে এই আয়োজন পরিণত হয়েছে এক মিলনমেলায়।
আকবরিয়া লিমিটেডের চেয়ারম্যান হাসান আলী আলাল বলেন, বাঙালির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সঙ্গে পিঠা অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে আছে। একসময় বাড়ি বাড়ি পিঠা তৈরির মধ্য দিয়ে যে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হতো, তা শহুরে জীবনের ব্যস্ততায় আজ অনেকটাই হারিয়ে গেছে। আকবরিয়ার উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা সেই হারিয়ে যেতে বসা ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে চাই।