প্রাপ্তি বেশি নাকি হতাশা?

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৮ ১০:৫৮ ।
খেলাধুলা
পঠিত হয়েছে ১৬১ বার।

বছরটা দুই ভাগে বিভক্ত। জানুয়ারি থেকে জুন এবং পরবর্তী ক'মাস। বাংলাদেশ ক্রিকেট দল জানুয়ারিতে ত্রিদেশীয় সিরিজে ভালো শুরু করে। শ্রীলংকা-জিম্বাবুয়েকে উড়িয়ে ফাইনালে যায় মাশরাফির দল। কিন্তু ঘরের মাঠে শ্রীলংকার কাছে ফাইনালে হারে বাংলাদেশ দল। এরপর হাথুরুর নির্দেশনায় লংকানদের বিপক্ষে টাইগাররা টেস্ট এবং টি-২০ সিরিজ হারে। হতাশায় শেষ বছরের নতুন সূচি।

নিদাহাস ট্রফিতে স্বাগতিক শ্রীলংকাকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ। দিনেশ কার্তিকের ছক্কায় টি-২০ ফরম্যাটে ফাইনালে হারে সাকিবের দল। তবে ফাইনালে ওঠা ছিল ঘরের মাঠে তিনটি সিরিজ হারা দগ্ধ টাইগারদের শরীরে চাঁদের নবনীর মতো। ওই টুর্নামেন্টে ফাইনাল খেলে বাংলাদেশ দল প্রশংসা কুড়ায়। কিন্তু বিতর্কিত আম্পায়ারিং। তা নিয়ে সাকিবের খেলোয়াড়দের উঠে আসতে বলার ইঙ্গিত। ড্রেসিং রুমের কাঁচ ভাঙাসহ নানা কারণে সমালোচিত হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।

নিদাহাস ট্রফির ফাইনালের স্বস্তি দেরাদুরে আফগানদের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজে হোয়াইটওয়াশে আবার মিলিয়েও যায়। এরপর জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে টেস্ট সিরিজে লজ্জার হার। চার ইনিংসে বাংলাদেশ দুইশ' রানের কোটা মাড়াতে পারেনি। পরের মাঠে এই হার যদি হয় মুখ লুকাবার তবে ঘরের মাঠের হারগুলো ছিল নিছক 'পাপ'। বাংলাদেশ আগের বছরগুলোতে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়াকে টেস্ট হারিয়েছে। ওয়ানডে সিরিজে জয় পেয়েছে পাকিস্তান, ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। অথচ ২০১৮ সালের শুরুর ছ'মাস ঘরে-বাইরে হারের বৃত্তে ছিল মাশরাফি-সাকিবরা।

পরিস্থিতি বদলেছে দ্বিতীয় ধাপে এসে। জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে জয়। এরপর টি-২০ চ্যাম্পিয়ন উইন্ডিজকে এই ফরম্যাটেও হারায় বাংলাদেশ। ক'দিন ক্ষ্যান্ত দিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে এশিয়া কাপ। সেখান ভারত ছাড়া বাকি দলগুলোর বিপক্ষে দারুণ খেলেছে বাংলাদেশ। শেষ ওভারে আবার হেরে শিরোপ হারালেও প্রশংসা জেতে বাংলাদেশ।

এরপর বছর শেষ করে জিম্বাবুয়ে-উইন্ডিজ সিরিজ দিয়ে। ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়েকে ওয়ানডে সিরিজে উড়িয়ে ধবলধোলাই করে টাইগাররা। তবে টেস্টে সমতা করে ১-১ এ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট হার বাংলাদেশের জন্য নতুন এক পাপের সামিল। সেই পাপমোচন হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাই করে। এরপর ওয়ানডে সিরিজে দাপটের সঙ্গে জিতেছে বাংলাদেশ। শেষটায় টি-২০ সিরিজে ২-১ এ হারলেও তা নিয়ে হাহাকার হয়নি।

২০১৮ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেট ভক্তদের আশা জাগাতে পারে দলের ওয়ানডে পারফরম্যান্স। বাংলাদেশ ২০টি ওয়ানডে ম্যাচের ১৩টি জিতেছে। সাকিব, তামিম, মুশফিক, মাহমুদুল্লাহ এবং মাশরাফির ওপর এই ফরম্যাটে আস্থা রাখা যায়। সেটা তারা দেখিয়েছেন। ২০১৯ বিশ্বকাপে এটিই বাংলাদেশের ভরসা। কিন্তু টেস্ট দলে নেই কোন স্থায়ীয়ত্ব। আট টেস্টের তিনটি জয়, চারটিতে হার।  সাব্বিরের দল থেকে পড়ে যাওয়া; এসব চিন্তার। তবে টেস্টে এ বছরও মেহেদি মিরাজ বড় প্রাপ্তি। বছরের শেষটার মতো নতুন বছরে নিউজিল্যান্ড এবং আয়ারল্যান্ডে মাশরাফি-সাকিবরা ভালো করলে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে ফুলবে টাইগারদের আশার বেলুন।