জাতীয় আদিবাসী কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সবিন চন্দ্র মুন্ডা আর নেই
নওগাঁ প্রতিনিধি
জাতীয় আদিবাসী পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সবিন চন্দ্র মুন্ডা (৫৫) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। শনিবার বিকেলে সাড়ে ৪টার দিকে নওগাঁর মহাদেবপুর বাজারে একটি দোকানে চা খাওয়ার সময় তিনি অসুস্থ্য হয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত সবিন চন্দ্র মুন্ডা উপজেলার এনায়েতপুর ইউনিয়নের কাঁলনা গ্রামের মৃত কৃষ্ট চন্দ্র মুন্ডার ছেলে। তাঁর এই আকস্মিক মৃত্যুতে স্থানীয় আদিবাসীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।
জাতীয় আদিবাসী পরিষদের উপদেষ্টা ও নওগাঁ জেলা বাসদের সমন্বয়ক জয়নাল আবেদীন মুকুল জানান সবিন চন্দ্র মুন্ডা কিছু বাজার করে স্থানীয় তুষার ট্রেডার্সে বসে পাশের চা স্টল থেকে চা নিয়ে খাচ্ছিলেন। এসময় হঠ্যাৎ করে হৃদরোগে আক্রান্ত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর জরুরী বিভাগের ডাক্তার তমা আক্তার জানান, সবিন চন্দ্রকে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই মারা যান। হার্ট এ্যাটাকের কারনেই তার মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
জয়নাল আবেদীন মুকুল আরো বলেন সবিন চন্দ্র মুন্ডা সমতল আদিবাসীদের যাবতীয় স্বার্থ ও অধিকার আদায়ের জন্য আজীবন আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে আসছিলেন। তিনি ২১ বছর আদিবাসী পরিষদ নওগাঁ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া গত ৭ বছর ধরে কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও আত্মীয় স্বজনসহ অনেক শুভাকাংখি রেখে যান। পারিাবরিকভাবে তিনি নিঃসন্তান ছিলেন। রোববার বেলা ১১টায় নিজগ্রামে পারিবারিক সমাধিস্থানে তাকে সমাধিস্ত করা হবে বলে তিনি জানান। তার মৃত্যুতে জেলা সিপিবির সভাপতি অ্যাড.মহসীন রেজা,সাধারণ সম্পাদক মোঃ শফিকুল ইসলাম,জেলা বাসদ সমন্বয়ক জয়নাল আবেদীন মুকুল ও জাতীয় আদিবাসী পরিষদ জেলা ও কেন্দ্রীয় কমিটির নের্তৃবৃন্দ গভীর শোক ও সমবেদনা পজানিয়েছেন।
এব্যাপারে মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি ) আজম উদ্দিন তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সবিন চন্দ্র মুন্ডা বিকেলে বাজারে একটি দোকানে চা খাওয়ার সময় হঠ্যাৎ করেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এ বিষয়ে কোন অভিযোগ না থাকায় হাসপাতাল থেকে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্থান্তর করা হয়েছে।