বগুড়ায় বাঁশের তৈরী মাছ ধরার ফাঁদ বিক্রি বেড়েছে

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২২ ১৩:২২ ।
বগুড়ার খবর
পঠিত হয়েছে ৩২ বার।

বর্ষাকাল মানেই খাল বিলে থৈ থৈ পানি। টানা ভারি বৃষ্টিপাতে নদী নালা সহ খাল বিল গুলো ফিরে পায় নতুন এক টইটুম্বুর যৌবন। ঠিক তেমনি বগুড়ায় ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে নদীতে বাড়ছে পানির গতি সাথে নিম্নাঞ্চল এলাকার তিন ফসলি জমি গুলো পানিতে তলিয়ে থাকায় বাড়ছে মাছ শিকারীদের আনাগোনা।

 

সরেজমিনে দেখা গেছে, বুধবার শিবগঞ্জ উপজেলার মহাস্থান হাটে দুর দুরান্ত থেকে বাঁশ দিয়ে হাতের তৈরী খৈলসান (বৃত্তি), ভাইড় (চোকা) পলই সহ কারেন্ট জাল বেচা কেনার চলছিল ধুম। দেশীয় মাছ ধরতে গ্রামের খাল, বিল ও উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছ শিকারে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিভিন্ন শ্রেনী ও পেশার মানুষেরা। সেই সাথে ওইসব মাছ ধরার সরঞ্জাম বিক্রির বাড়ছে ধুম। আর ও সকল ফাঁদ তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগড় ও তাদের পরিবার। বাঁশ কেনা, বাঁশ কাটা থেকে শুরু করে শলাকা তৈরী ও ফাঁদ বোনাতে দিনের শুরু থেকে সন্ধ্যা অবদি কেটে যাচ্ছেন তাদের সময়।

 

এ বিষয়ে হাটে আসা ময়েজ উদ্দিন নামে এক কারিগর জানান, একটি ভালো জাতের বাঁশ থেকে কমপক্ষে ২-৩ টি খৈলশুন বানানো যায়। আর প্রতিটি খৈলশুনের দাম ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা ও ভাঁইড় ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা মুল্যে বিক্রয় করছেন তিনি। চারিদিক পানিতে থৈ থৈ করায় এই সময়ে তাকে খুব ব্যস্থ সময় পার করতে হচ্ছে তবে তার পরিবারের সদস্যরা তাকে যথেষ্ট ভাবে সহযোগিতা করেন এসব তৈরীতে। এবং বর্তমানে তার সংসার ও ভালো ভাবে চলছেন ওসব তৈরির টাকায়।

 

এবিষয়ে একজন ক্রেতার সাথে কথা বললে তিনি জানান, বর্ষাকালে এসব ফাঁদের দাম একটু বেশি সে কারণে শখের বসে মাছ শিকারের জন্য খৈলশুন কিনতে আসলে তাকে অনেক বেশি মূল্যে কিনতে হয়েছে বলে জানান তিনি।

 

এ বিষয়ে হাট ইজারাদারের প্রতিনিধি মনিরুজ্জামান মটু জানান, বছরের এই সময়গুলোতে এসকল সরঞ্জামগুলোর দাম একটু বেশিই থাকে। তবে যেভাবে বৃষ্টিপাত বাড়ছে তাতে করে আরো এসবের চাহিদা বাড়তে পারেন বলে মনে করেন তিনি।