বগুড়ার নন্দীগ্রামে মুন্সি গোলাপ মাদকসহ গ্রেপ্তার

নন্দীগ্রাম( বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ মে ২০২৪ ১৬:৪০ ।
বগুড়ার খবর
পঠিত হয়েছে ৩৬ বার।

বগুড়ার নন্দীগ্রামে একাধিক মামলার আসামি শীর্ষ মাদক কারবারি মুন্সি গোলাপকে গাঁজাসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। মাদক বিরোধী অভিযানে একই স্পট থেকে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া কুমিড়া পুলিশের অভিযানে একজনকে ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। 

 

মাদক কারবারি মুন্সি গোলাপ পৌরসভার মেয়র ও নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমানের শ্যালক এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফিরোজুর রহমান ফিরোজের ভাই। গোলাপ উপজেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম আহবায়ক। 

 

বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার হাটলাল দিঘী-পাড়ার একটি পুকুরপাড়ে মাদকদ্রব্য গাঁজা বিক্রয়কালে অভিযান চালিয়ে দুইজনকে এবং গুলিয়া কৃষ্ণপুর এলাকা থেকে চুরি-ছিনতাই সন্দেহে একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা হলেন- নন্দীগ্রাম পৌর শহরের পুরাতন বাজার হাইস্কুল মোড় এলাকার আজাহার আলীর ছেলে গোলাপ হোসেন ওরফে মুন্সি গোলাপ (৪৮), তার মাদক সেলসম্যান উপজেলার রণবাঘা হাটলাল দিঘীপাড়ার মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪২) এবং গুলিয়া কৃষ্ণপুর এলাকার মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে মাসুদ রানা (৫০)। 

 

শুক্রবার থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের শেষে পৌর মেয়রের শ্যালক গোলাপসহ দুইজন ও ১৫১ ধারায় একজনকে বগুড়া আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ। সিংড়া ও নন্দীগ্রাম উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি হিসেবে পরিচিত মুন্সি গোলাপের বিরুদ্ধে থানায় আগের দুটি মাদক মামলা রয়েছে। 

 

পুলিশ জানিয়েছে, সদর ইউনিয়নের হাটলাল দিঘীপাড়ার পুকুরপাড়ে অস্থায়ী একটি টিনের ঘর তুলে সেখানে বসে ইয়াবা, হেরোইনসহ মাদক সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতেন পৌর মেয়র আনিছুর রহমানের শ্যালক মুন্সি গোলাপ। সেলসম্যানের মাধ্যমে তরুণ ও যুবকদের হাতে মাদক পৌঁছে দিতেন। দিনদিন মাদকাসক্তের সংখ্যা বাড়তেই থাকে। শীর্ষ মাদক কারবারি গোলাপকে হাতেনাতে গ্রেপ্তারের জন্য সোর্সের মাধ্যমে নজর রেখেছিল পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার রাতে হাটলাল দিঘীপাড়ার পুকুরপাড়ে সেই টিনের ঘরে মাদক বিক্রয়কালে অভিযান চালিয়ে মুন্সি গোলাপ ও তার সহকারী রফিকুলকে আটক করা হয়। তাদের দেহ তল্লাশি করে ৫০গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার দুইজনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেছেন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হক। 

 

নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজমগীর হোসাইন আজম জানান, মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে মামলা দায়ের শেষে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তারা নিজেদের হেফাজতে মাদকদ্রব্য রেখে বিক্রয় করতো এবং এলাকার যুবসমাজকে মাদকাসক্ত করছিল মর্মে অকপটে স্বীকার করেছে। কুমিড়া পুলিশের অভিযানে সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান ওসি।