বগুড়ায় পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন

শেরপুর( বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪ ১৭:০১ ।
বগুড়ার খবর
পঠিত হয়েছে ৬০ বার।

বগুড়ার শেরপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের আয়োজনে ক্ষতিকর পলিথিন ও প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়েছে। 

 

মঙ্গলবার দুপুরে শহরের উলিপুর আমেরিয়া সমতুল্ল্যাহ মহিলা সিনিয়র (ফাজিল) মাদ্রাসার সভাকক্ষে এর আয়োজন করা হয়।

 

ক্যাম্পেইনে উপস্থিত শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ পরিবেশের জন্য পলিথিন ব্যবহার না করার অঙ্গীকার করেন।

এতে সভাপতিত্ব করেন বসুন্ধরা শুভসংঘের উপজেলা কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল হাই বারী। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শেরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কেএম মাহবুবার রহমান হারেজ।

 

তিনি তার বক্তব্যে ক্ষতিকর পলিথিন ও প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধে বসুন্ধরা শুভসংঘের নানা পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেন। পাশাপাশি অরাজনৈতিক-সামাজিক এই সংগঠনটির পাশে থাকার ঘোষণা দেন।

 

মাহবুবার রহমান হারেজ বলেন, যত্রতত্র পলিথিন ব্যবহার পরিবেশের জন্য খুবই ক্ষতিকর। তাই পাটজাত পণ্যের মাধ্যমে বিকল্প তৈরি করতে হবে। 

 

পাশাপাশি সেটি ব্যবহারে গণসচেতনতা তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। 

 

শেরপুর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান বলেন, বাজারে যাওয়ার সময় বাড়ি থেকেই পাটজাত পণ্যের ব্যাগ সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে। কোনো পলিথিন ও প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করতে হবে। তাহলে পলিথিন ব্যবহারবিরোধী জনমত গড়ে উঠবে। এ ক্ষেত্রে জনসচেতনতা তৈরির বিকল্প নেই। 

 

শিক্ষার্থী ফাহমিদা আক্তার বলেন, দৈনন্দিন জীবনযাপনে পলিথিন ও প্লাস্টিক ব্যবহারের প্রয়োজন হয়। তাই এর বিকল্প তৈরি করতে হবে। অন্যথায় পলিথিন ব্যবহার ঠেকানো যাবে না। এটি ঠেকানো না গেলে পরিবেশ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কারণ পলিথিন পচে না এবং মাটির উর্বরতা নষ্ট করে। 

 

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বসুন্ধরা শুভসংঘের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের মজনু। 

 

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ওই মাদ্রাসার প্রভাষক শাহজাহান আলী, প্রভাষক জিল্লুর রহমান, দৈনিক কালের কণ্ঠের শেরপুর প্রতিনিধি আইয়ুব আলী, সাধুবাড়ী সালেহা পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক রফিকুল ইসলাম, বসুন্ধরা শুভসংঘের উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি আব্দুল আলীম, হাবিবুর রহমান পান্না, সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুক, সদস্য গোলাম রব্বানী, ডা. গোলাম সারোয়ারসহ অনেকে।