নাহিদ রানায় চোখ পড়েছে শন টেইটের
পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
২০১৩ সালের বিপিএলে চিটাগং কিংসের হয়ে বিপিএল খেলেছিলেন শন টেইট। চিটাগং কিংস বিপিএলে ফিরেছে আবার। ফিরেছেন টেইটও। তবে এবার অন্য ভূমিকায়। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ফাস্ট বোলার দায়িত্ব নিয়েছেন চিটাগং কিংসের কোচের।
৩০ ডিসেম্বর থেকে শুরু টুর্নামেন্টের ছয় দিন আগেই ঢাকায় চলে এসেছেন টেইট। কাল ঢাকায় পৌঁছে আজ সকালে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে দল নিয়ে নেমে পড়েছেন অনুশীলনেও। অনুশীলন শেষে সাংবাদিকদের জানালেন, চিটাগং কিংসের হয়ে বাংলাদেশে আবারও এসে কিছুটা স্মৃতিভারাক্রান্ত তিনি।
শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের মিডিয়া প্লাজায় দাঁড়িয়ে কথা বলার সময় গায়ের জার্সিটা দেখিয়ে হেসে বলেন, ‘যখন প্রথম কলটা পাই, নস্টালজিয়া তো কাজ করেছেই। ২০১৩–তেও এসেছি এখানে। কিছু স্মৃতি মনে পড়ে গেছে...জার্সির রংও একই আছে (হাসি)।’
টেইট এমন একটা সময়ে বাংলাদেশে ফিরলেন, যখন এই দেশে পেসারদের রমরমা। একসময়ের পেসার–সংকট কাটিয়ে বাংলাদেশ দল এখন পারছে পেসারদের বিশ্রাম দিয়ে খেলানোর বিলাসিতা করতে। পেসারদের এই তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন নাহিদ রানা। শুধু সংযোজন বললে অবশ্য কম বলা হবে, নাহিদ রানা রীতিমতো চোখে পড়ার মতো সংযোজনই।
সামনে শন টেইটের মতো একজনকে পেয়ে নাহিদ রানাকে নিয়ে তাঁর কাছ থেকে কিছু জানার লোভ সংবরণ করা কঠিন। এক সাংবাদিকের প্রশ্নে টেইটও বুঝিয়ে দিলেন, বাংলাদেশের নতুন পেস সেনসেশন চোখে পড়েছে তাঁরও, ‘আমি তাকে পাকিস্তান সিরিজে টিভিতে দেখেছি। এর আগে খুব বেশি জানতাম না ওর সম্পর্কে। অনেক লম্বা ও শক্তিশালী ছেলে। আমি বলব, বাংলাদেশের ক্রিকেটে এটা রোমাঞ্চকর একটা বিষয়, বিশেষত পেস বোলিংয়ে। সব সময় তো এমন হয় না, তাই না?’
নাহিদের মতো একজন, যে কি না ১৫০ কিমি গতিতে বল করতে পারে, এমন খুব কমই আছে। আমার মনে হয়, তার ভালোভাবে যত্ন নেওয়া উচিত।
শন টেইট পেস বোলিংয়ে বাংলাদেশ দলের গভীরতা দেখেও মুগ্ধ চিটাগং কিংস কোচ। সঙ্গে মনে করিয়ে দিয়েছেন, নাহিদের মতো একজন গতিময় বোলারকে টিকিয়ে রাখতে তাঁর যত্ন নেওয়াটাও জরুরি, ‘পেস বোলিংয়ে এত গভীরতা থাকে না। নাহিদের মতো একজন, যে কি না ১৫০ কিমি গতিতে বল করতে পারে, এমন খুব কমই আছে। আমার মনে হয়, তার ভালোভাবে যত্ন নেওয়া উচিত। বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য দুর্দান্ত একজনই হবে সে।’
ভয় শুধু একটাই, যেটা আসলে সব পেসারেরই ভয়—চোটমুক্ত থেকে খেলা চালিয়ে যাওয়া। এ ক্ষেত্রে নাহিদ রানার তো বটেই, তাঁকে নিয়ে যাঁরা কাজ করবেন, তাঁদের ভূমিকাটাও গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন টেইট, ‘তার সঙ্গে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তাকেও নিজের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। খেলোয়াড়টির তার নিজের শরীরের ব্যাপারে ধারণা আছে। এর সঙ্গে সঠিক মানুষের পরারর্শ থাকলে আমি আশা করি, সে ভালো থাকবে।’
টেইট চিটাগং কিংসের কোচ, আর নাহিদ রানা খেলবেন রংপুর রাইডার্সের হয়ে। অর্থাৎ বিপিএলে বাংলাদেশ দলের এই পেসারকে তিনি দেখবেন প্রতিপক্ষ শিবির থেকে। টেইট অবশ্য নিজ দলেও পাচ্ছেন শরীফুল ইসলাম–খালেদ আহমেদের মতো বাংলাদেশ দলের পেসারদের। প্রধান কোচ হয়ে এলেও তাদের নিয়ে বাড়তি কাজ করারও পরিকল্পনা আছে তাঁর, ‘আমাদের বেশ ভারসাম্যপূর্ণ কোচিং স্টাফ আছে। তারা সবকিছুই পারে। খেলোয়াড়েরাও একজন আরেকজনের কাছে শিখতে পারে। যেমন ধরুন, শরিফুল এখন সিনিয়র ক্রিকেটার। অন্য ক্রিকেটাররা তার কাছে শিখতে পারে। আমিও পেসারদের নিয়ে বাড়তি কাজ করব।’