আবারও চোটে পড়ে কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়লেন নেইমার
পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
ভিলা বেলমিরো স্টেডিয়ামে নিজের ১০০তম ম্যাচ উদযাপনের জন্য বিশেষ ১০০ নম্বর জার্সি পরে মাঠে নেমেছিলেন নেইমার। কিন্তু তার উদযাপনের আনন্দ কিছুক্ষণ পরই বিষাদে রূপে নেয়। বাঁ পায়ের উরুতে চোট পেয়ে কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়েন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা।
বুধবার রাতে ব্রাজিলের ঘরোয়া ফুটবলের সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতা ব্রাজিলিয়ান সিরিআতে খেলতে নেমেছিলেন নেইমার। ম্যাচে নেইমারের সান্তোষের প্রতিপক্ষ ছিল আতলেতিকো-মিনেইরো।
ম্যাচের ৩৪তম মিনিটে চোট পেয়ে উঠে যান নেইমার। চোট এতটাই তীব্র ছিল যে, মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন ব্রাজিলিয়ান তারকা। নেইমার বেঞ্চে ফেরার আগেই ২-০ তে এগিয়ে গিয়েছিল সান্তোস। শেষ পর্যন্ত সেটি লিড ধরে রাখতে সক্ষম হয় ক্লাবটি।
এদিন ম্যাচ শুরুর সময়ই দেখা যায়, নেইমারের দুই পা-ই ব্যান্ডেজে মোড়ানো। পরে ম্যাচে খুব বেশি সময় না যেতেই বাঁ উরুতে অস্বস্তি প্রকাশ করতে শুরু করেন তিনি।
সান্তোস যখন দ্বিতীয় গোল করে লিড বাড়ায়, ঠিক তারপরই নেইমার সাইডলাইনে ইশারা করে বদলির অনুরোধ জানান। এরপর মাঠেই বসে পড়েন এবং মাঠ ছাড়ার জন্য তাকে অন্যের সহায়তা নিতে হয়।
পিচ থেকে উঠে যাওয়ার সময় আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন নেইমার। তাকে সান্তোসের ও প্রতিপক্ষ আতলেতিকো-মিনেইরোর খেলোয়াড়রা সান্ত্বনা দেন। যাদের মধ্যে ছিলেন তার সাবেক ব্রাজিল জাতীয় দলের সতীর্থ হাল্কও। বেঞ্চে ফেরার পরপরই ইনজুরির জায়গায় বরফের প্যাক লাগিয়ে চিকিৎসা শুরু করা হয়।
একই স্থানে আগে ক্যাম্পেওনাতো পাওলিস্তা ম্যাচে চোট পেয়ে ছয় সপ্তাহ মাঠের বাইরে ছিলেন নেইমার। গত রবিবার ফ্লুমিনেন্সের বিপক্ষে বদলি হিসেবে মাঠে নামার মাধ্যমে ইনজুরি থেকে ফিরেছিলেন ৩৩ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড।
এই বাঁ উরুর চোটের কারণেই গত মাসে ব্রাজিলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে কলম্বিয়া ও আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচে খেলতে পারেননি নেইমার।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ব্রাজিল জাতীয় দলের বাইরে রয়েছেন তিনি। তখনই বাঁ হাঁটুতে এসিএল ও মিনিসকাস ছিঁড়ে যায় তার।
চোট থেকে সেরে উঠার পর জানুয়ারি ট্রান্সফার উইন্ডোতে সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আল হিলাল ছেড়ে শৈশবের ক্লাব সান্তোসে ফিরে আসেন নেইমার। মার্চ মাসে ব্রাজিলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দলে নামও আসে তার। তবে খেলা হয়নি।