ছয়দিন ধরে অস্থিরতা, সরকারিকরণের দাবিতে মাঠে বগুড়া বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

অরুপ রতন
প্রকাশ: ০৩ মে ২০২৫ ১৬:২৮ ।
প্রধান খবর
পঠিত হয়েছে ৮৬ বার।

বগুড়া বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজকে সরকারিকরণের দাবিতে মানববন্ধন, লিফলেট বিতরণ ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালিত হয়েছে। শনিবার বেলা ১১টায় শহরের সাতমাথা মোড়ে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে শিক্ষক, কর্মচারী, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অংশ নেন।

 শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে সরকারের প্রতি তাদের দাবির কথা জানান। এসময় সরকারিকরণের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগানও দেন তারা।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন- প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক আব্দুল মান্নান, মোশাররফ হোসেন, হাসিব বিন আব্বাস ও অভিভাবকদের পক্ষে মিজানুর রহমান। 

বক্তারা জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

তারা বলেন, ২০০৩ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও ২০০৫ সালে তারেক রহমানের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ‘বগুড়া মডেল স্কুল’ হিসেবে এই প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়। পরবর্তীতে নাম পরিবর্তন হয়ে এটি ‘বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বগুড়া’ নামে পরিচিত হয়। ২০০৬ সালে বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়।

বক্তারা আরও অভিযোগ করে বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা ১১টি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের মধ্যে নয়টি সরকারিকরণ হলেও বগুড়ার এই প্রতিষ্ঠানটি বিয়াম ফাউন্ডেশনের অধীনে হস্তান্তর করা হয়, যেখানে ফাউন্ডেশনের কোনো ভূমিকা ছিল না। পুরোপুরি শিক্ষার্থীদের টিউশন ফিতে পরিচালিত হলেও প্রতিবছর আয়ের ২৫ শতাংশ বিয়াম ফাউন্ডেশনকে দিতে হয়। এছাড়া খাতা, ডায়েরি ও উপকরণ কেনার নামেও ফাউন্ডেশন বছরে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ লাখ টাকা আদায় করছে।

প্রায় ১৮০ জন শিক্ষক-কর্মচারী দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে পদোন্নতি, বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত বলে অভিযোগ করেন তারা। অবিলম্বে প্রতিষ্ঠানটি সরকারিকরণের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার  হস্তক্ষেপ কামনা করেন বক্তারা।

এদিকে, গত সোমবার থেকে প্রতিষ্ঠানে অস্থিরতা বিরাজ করছে। সেদিন থেকে শিক্ষকেরা ক্লাস বর্জন এবং পরে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে দুইদিন ছুটি ঘোষণা করা হয়। টানা ছয়দিন প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে৷ এতে আন্দোলনের বাইরে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা বিপাকে পড়েছেন। 

এ বিষয়ে  বগুড়া জেলা প্রশাসক এবং ওই প্রতিষ্ঠান পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হোসনা আফরোজা বলেন , ' শিক্ষকেরা শৃঙ্খলা বিরোধী কাজ করছে। তাদের দাবি থাকলে স্মারকলিপির মাধ্যমে সরকারকে জানাবে। কিন্তু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জিম্মি করে তারা যে আন্দোলন ও মানববন্ধন করছে তা তাদের চাকরির বিধি বহির্ভূত।'