তরুণ উদ্যোক্তা স্বপন-সুজনের কৃষি খামার: প্রতি বছর ২০ লাখ টাকা আয়ের সম্ভাবনা
মুনসুর রহমান তানসেন, কাহালু (বগুড়া)
বগুড়ার কাহালুতে শিক্ষিত তরুণ উদ্যোক্তা মেহেদী হাসান স্বপন ও তার ভগ্নিপতি মাহাদী হাসান সুজন, শখের বশে কৃষি কাজ শুরু করেন। সখ থেকেই এখন বাণিজ্যিকভাবে কৃষিতে বিনিয়োগ করে প্রতি বছর খরচ বাদ দিয়ে ২০ লাখ টাকা আয়ের টার্গেট নিয়ে বর্তমানে অনেকটা সফলতার পথে তারা এগিয়ে যাচ্ছেন।
জানা গেছে, কাহালু পৌর সদরের নবীনগরের বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজের আলী শেখ এঁর ছেলে মেহেদী হাসান স্বপন অনলাইনে আউট সোসিং কাজ করেন। স্বপনের খালাতো বোনের স্বামী বগুড়া সদরের ফুলতলার শামীম আল হাসানের ছেলে মাহাদী হাসান সুজন একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকুরী করেন। তারা প্রথমে সখের বশে বগুড়ার কাহালু উপজেলার বোরতা মৌজায় সামান্য কিছু জায়গাতে ড্রাগন ফল ও শাক-সবজির চাষ শুরু করেন।
শখের বশে এই কৃষি কাজ লাভজনক হওয়ায় তারা দুজন মিলে আস্তে আস্তে জায়গার পরিমান বৃদ্ধি করে সেখানে পূঁজি বিয়োগ করেন। পূঁজি বিনিয়োগে আয় বাড়তে থাকলে তারা বোরতা মৌজায় প্রায় ৬ বিঘা জমিতে এবং খাজলাল মৌজায় প্রায় ১২ বিঘা জমিতে কৃষি খামার গড়ে তোলেন। তাদের এই দুটি খামারে রয়েছে ড্রাগন ফল গাছ, বারোমাসি আম গাছ, লেবু গাছ, পেঁপে গাছ। এছাড়াও সেখানে করলা, কচুর লতি, বেগুন, তরমুজ, লাউ, মিষ্টি কুমড়া, রকমিলন, সজনা, মরিচসহ বিভিন্ন ফল ও সবজির চাষ করা হয়ে থাকে। বোরতা ও খাজলাল খামারে পর্যায় ২০ লাখ টাকার মত পূঁজি বিনিয়োগ করেন। তরুণ উদ্যোক্তা স্বপন ও সুজন জানান, এই তরুণ দুই উগ্যোক্তা। বোরতা কৃষি খামারে পুরোদমে উৎপাদন শুরু হলেও এখনো খাজলাল কৃষি খামারে উৎপাদন শুরু হয়নি। খাজলালের ১২ বিঘার কৃষি খামারে এখনো উৎপাদন শুরু না হলেও বোরতার ৬ বিঘার কৃষি খামার থেকেই প্রতি সিজিনে ১০০ মন মরিচ, ৫০ হাজার টাকার লেবু, ২ লাখ টাকার আম ৬ লাখ টাকার ড্রাগন ফল বিক্রি হয়। এছাড়াও কয়েক লাখ টাকার অন্যান্য ফল ও বিভিন্ন প্রকারের সবজি বিক্রি করা হয়। বর্তমানে বোরতা কৃষি খামার থেকেই খরচ বাদে বছরে প্রায় ৮ লাখ টাকার মত আয় হচ্ছে। খাজলাল খামারে উৎপাদন শুরু হলে খরচ বাদ দিয়ে বছরে ২০ লাখ টাকার উপরে আয় করা সম্ভম। কৃষি খ্যাত থেকে প্রতি বছর ২০ লাখ টাকা আয়ের টার্গেট নিয়ে উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে অধুনিক প্রদ্ধতিতে বিভিন্ন ফল ও সবজির চাষ করা হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, স্বপন ও সুজনের কৃষি খামারে আধুনিক প্রদ্ধতিতে ফল ও সবজি চাষ করা হচ্ছে। তারা নিয়মিত কৃষি অফিসের পরামর্শে বেশ সফলভাবেই বাণিজ্যিকভাবে ফল ও সবজি চাষ করছেন।