ভবিষ্যৎ কৃষি ব্যবস্থা রুপান্তরে মাশরুম চাষ সম্প্রসারণের বিকল্প নাই- কৃষিবিদ আব্দুর রহিম

শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ মে ২০২৫ ২১:৫৬ ।
বগুড়ার খবর
পঠিত হয়েছে ১১ বার।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) খামার বাড়ি ঢাকা’র পরিচালক (উদ্ভিদ সংনিরোধ উইং) কৃষিবিদ মো. আব্দুর রহিম বলেছেন, ভবিষ্যত কৃষি ব্যবস্থা রুপান্তরে মাশরুম চাষ সম্প্রসারণের বিকল্প নাই। মাশরুম চাষে অধিক পরিমাণে খাদ্য ও পুষ্টি দু’টোই মিলবে। একই সাথে দারিদ্রতাও কমবে। বাড়বে কর্মস্থান। তবে মাশরুম চাষ প্রকল্পটি চ্যালেঞ্জিং এবং গুরুত্বপূর্ণ। 

তিনি আরও বলেন, অব্যাহত জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে একদিকে চাষযোগ্য জমি কমছে। অপরদিকে খাদ্য চাহিদা বাড়ছে। এক সময় দেখা যাবে ফসল চাষ করার মতো জমি থাকবেনা। এমতাবস্থায় ছায়াযুক্ত বাড়ির আঙ্গিনা, ছাদ, বারান্দা ছাড়া আর কিছু অবশিষ্ট থাকবেনা। সেক্ষেত্রে মাশরুম চাষ করলে উল্বম্ব ভাবে একটুকরা জমিতে ৬-৭ স্তরে চাষ আবাদি জমির সংকট থেকে বাঁচা যাবে।  

আজ বুধবার (২১ মে) বগুড়া পর্যটন মোটেলে ডিএই বগুড়া অঞ্চল আয়োজিত মাশরুম চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র হ্রাসকরণ প্রকল্পের আওতায় আঞ্চলিক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

 

দিনব্যাপি কর্মশালায় ডিএই বগুড়া অঞ্চলের আওতাভূক্ত বগুড়া, জয়পুরহাট, পাবনা সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তা, গণমাধ্যম প্রতিনিধি, স্বাস্থ্য বিভাগ, সমাজ সেবা, সমবায়, কৃষি গবেষণা, আরডিএ, বাংলাদেশ বেতার, এনজিও, মাশরুম উদ্যোক্তা, মাশরুম চাষি ও সুপার মলের প্রতিনিধিসহ দেড়শ’ প্রতিনিধি এ কর্মশালায় অংশ নেন।

 

ডিএই বগুড়া অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো. আব্দুল ওয়াদুদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পাবনা কৃষি প্রশিক্ষণ ইস্টটিটিউটের অধ্যক্ষ কৃষিবিদ মো. মতলুবর রহমান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মাশরুম চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র হ্রাসকরণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ ড. আখতার জাহান কাঁকন।

 

বহিরাঙ্গন অফিসার আদনান বাবু’র সঞ্চালনায় কর্মশালায় আরও অংশ নেন ডিএই খামার বাড়ি বগুড়ার উপপরিচালক কৃষিবিদ সোহেল মো. শামসুদ্দীন ফিরোজ, জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার একেএম মফিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্ভিদ সংরক্ষণ) এখলাস হোসেন সরকার প্রমুখ।