আওয়ামী লীগই ভারতপন্থী দল- বগুড়ায় রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২১:৫৩ ।
প্রধান খবর
পঠিত হয়েছে ১৭ বার।

আওয়ামী লীগই ভারতপন্থী দল প্রমাণ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাড. রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, “হাসিনা বলতো আমরা পাকিস্তানপন্থী দল। কিন্তু আমরা বাংলাদেশপন্থী দল। ১৬ বছর গুম, খুন, হামলা-মামলার শিকার হয়েও আমরা দেশ ছেড়ে পালাইনি। বরং পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগই ভারতপন্থী দল প্রমাণ করেছে। আসলে আওয়ামী লীগের জন্মই হয়েছে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার ল্যাবরেটরিতে।”

 

শুক্রবার বিকেলে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বগুড়ায় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

রিজভী বলেন, জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে প্রধান অবদান ছিল তারেক রহমানের। তিনি দূর থেকে প্রযুক্তির মাধ্যমে গোটা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। এর ফলেই স্বৈরাচারী হাসিনার পতন ঘটে।

 

ডাকসু নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি অভিযোগ করেন, ছাত্রশিবিরের প্যানেলের জিএস প্রার্থী আগে ছাত্রলীগের পদধারী ছিলেন। ভিপি পদপ্রার্থীও ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন বলে ফাহমিদা জানিয়েছিল। এর জেরে ফাহমিদা সাইবার বুলিং ও নানা হুমকির শিকার হয়েছেন। যারা ছাত্রলীগ করে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে হামলা চালিয়েছে, হাত-পা কেটেছে, তারাই এখন ভিন্ন পরিচয়ে ছাত্রশিবিরের নেতা সাজছে। “তারা কীভাবে সাধারণ ছাত্রদের ভোট পাবে, আমি জানি না।”

 

তিনি বলেন, ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের পাশাপাশি অনেক দলের প্যানেল রয়েছে। কিন্তু ১৯৭১ সালের রাজনৈতিক ভুলের দায়ে কাউকে রাজাকার আখ্যা দিয়ে সাইবার বুলিং ও হুমকি দেওয়া হয়। এতে প্রমাণ হয়, তারা বিশ্ববিদ্যালয়কে জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র হিসেবে বিশ্বাস করে না। অথচ তারাই এখন ইসলাম ও ধর্মের কথা বলে।

 

 

সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাড. এ কে এম মাহবুবর রহমান ও হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু। বক্তব্য দেন জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলী আজগর তালুকদার হেনা, জয়নাল আবেদীন চাঁন, সাবেক এমপি কাজী রফিকুল ইসলাম, মাহফুজ ইসলাম, মাহমুদুর রহমান সুমন, ডা. নূর হাবীব ও জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন।

 

এর আগে, চারদিনব্যাপী কর্মসূচির শেষ দিনে করতোয়া নদীতে পোনা মাছ অবমুক্ত করেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।