বগুড়ায় পাওনা টাকা দেওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা
স্টাফ রিপোর্টার
বগুড়ায় পাওনা টাকা দেওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে শাকিল খন্দকার( ৪০) নামে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার সকালে শহরের তেলিপুকুর এলাকার একটি ধানক্ষেত থেকে তার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের ভাগিনা তৌফিক ইসলাম গুরুতর আহত অবস্থায় শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
নিহত শাকিল খন্দকার বগুড়া শহরের ছিলিমপুর মিয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তার বাবার নাম বাকিবুল্লাহ খন্দকার। নিহত শাকিলের বিরুদ্ধে যুবলীগ নেতা বিপ্লব হত্যাসহ একাধিক মামলা চলমান রয়েছে।
স্বজনরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে তেলিপুকুর এলাকায় বালু ব্যবসা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শাকিল খন্দকারের সঙ্গে স্থানীয় শামিম ও পলাশের দ্বন্দ্ব চলছিল। শুক্রবার রাতে জমি কেনাবেচার পাওনা দেড় লাখ টাকা দেওয়ার কথা বলে শাকিলকে তার আত্মীয় সুজন ডেকে নেয় তেলিপুকুর গ্যাসপাম্পের পেছনের এলাকায়। সেখানে গেলে পলাশ ও শামিম ৩০-৪০ জন সহযোগী নিয়ে প্রথমে শাকিলের ভাগিনা তৌফিককে বেধড়ক মারধর করে। একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে শাকিলকে আঘাত করলে তিনি পালিয়ে যান।
পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে অভিযুক্তরা মব তৈরি করে উল্টো শাকিলের ছেলে জয় (২৮)-এর হাতে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ স্বজনদের। রাতেই স্বজনরা শাকিলের সন্ধান পেতে পুলিশের শরণাপন্ন হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। পরে শনিবার সকালে ধানক্ষেত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার হয়।
এ ঘটনায় শাকিলের তিন ছেলে জয়, আপন (২৫) ও অপূর্ব (২২)-এর মধ্যে আপন ও অপূর্বও আহত হয়েছেন। নিহতের ভাগিনা তৌফিক ইসলাম (৩২), বাবা রফিকুল ইসলাম গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
শাকিলের চাচাতো ভাই মিরাজ খন্দকার জানান, পূর্ব শত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে শাকিলকে হত্যা করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মঞ্জুর জানান, ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নিলয় ও রাতুলসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।