নন্দীগ্রামে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে সারের দাম বৃদ্ধি অভিযোগ

নন্দীগ্রাম( বগুড়া) প্রতিনিধি
বগুড়ার খবর
পঠিত হয়েছে বার।

বগুড়ার নন্দীগ্রামে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে সারের দাম বৃদ্ধি অভিযোগ করেছেন উপজেলার ৬০ জন কৃষক। রোববার (২৬ অক্টোবর) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর অভিযোগ করেন ওই কৃষকরা।

 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে নন্দীগ্রামের বিভিন্ন বাজারে দোকানে গিয়ে সার পাওয়া যাচ্ছে না। যদিও এক-দুই বস্তা পাওয়া যায় তা ৮ শ থেকে ১ হাজার টাকা বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। অভিযোগকারীর একজন উপজেলার কদমা গ্রামের কৃষক জুয়েল আহম্মেদ বলেন, আমি সার কেনার জন্য নন্দীগ্রামের গোল্ডেন এন্টারপ্রাইজে গিয়ে সার পাইনি। শাপলা এন্টারপ্রাইজে গিয়ে সার দিতে চেয়েছে। তবে দাম অনেক বেশি। প্রতি বস্তা টিএসপি ২০৫০ টাকা, এমওপি ১১৫০ টাকা, ডিএপি ১৩৫০ ও ইউরিয়া ১৩৫০ টাকা দাম চায়। তাও আমার চাহিদা মতো সার দিবে না। রণবাঘা বাজারে প্রসাদ এন্টারপ্রাইজেও একই অবস্থা।

 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গাজীউল হক জানান , খুচরা বাজারে প্রতি বস্তা টিএসপি ১৩৫০ টাকা, এমওপি ১০০০টাকা, ডিএপি ১০৫০ ও ইউরিয়া ১৩৫০ টাকায় বিক্রি করতে হবে। এ উপজেলায় বিএডিসি ২৩ জন ও বিসিআইসি ১৩ জন ডিলার আছে। অক্টোবর মাসের চাহিদা ও বরাদ্দ ছিল ইউরিয়া ৩১৭ মেট্রিক টন, টিএসপি ২২২ মেট্রিক টন, এমওপি ৩২৬ মেট্রিক টন ও ডিএপি ৫৮২ মেট্রিক টন। নন্দীগ্রামে সারের সংকট হবে না। সারের দাম বেশি নেওয়ার কোন সুযোগ নেই।

 

এবিষয়ে জানার জন্য গোল্ডেন এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মোখলেছার রহমানের সাথে যোগাযোগে চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। 

 

শাপলা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মেহেদী হাসান পরাগ বলেন, টিএসপি ছাড়া অন্য সব সার ক্রেতার চাহিদা মতো দেওয়া হচ্ছে। টিএসপির বরাদ্দ পেয়েছি খুব অল্প। কোন সারের দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে না। কৃষক একটু ধর্য্য ধরলে সব সার পেয়ে যাবে।

 

অভিযোগ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুল ইসলাম বলেন, এ বিষয় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।