বগুড়ায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২ জন নিহত
স্টাফ রিপোর্টার
বগুড়ার আদমদীঘি ও সদরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় এক নারীসহ দুজন নিহত এবং দুজন আহত হয়েছেন। শনিবার রাতে আদমদীঘির ইন্তেহাদ প্লাস্টিক কারখানার সামনে এবং বগুড়া সদরের বারপুর এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটে। রবিবার সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মরদেহ দুটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
নিহতরা হলেন- বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা সদরের কাশিমালা গ্রামের উজ্জ্বল হোসেনের ছেলে মাদ্রাসাছাত্র রাহিম হোসেন (১৮) এবং শিবগঞ্জ উপজেলার আতলাই দাড়পাড়ার আবু তালেবের স্ত্রী শান্তা ইসলাম (২৪)।
আহতরা হলেন- জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার পুরঘর গ্রামের লিটন হোসেনের ছেলে তৌফিক হোসেন এবং একই গ্রামের জুয়েল হোসেনের ছেলে রহিম উদ্দিন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার রাতে মাদ্রাসাছাত্র রাহিম হোসেন বন্ধু তৌফিক ও রহিমকে মোটরসাইকেলে নিয়ে সান্তাহার থেকে আদমদীঘি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে বগুড়া-নওগাঁ সড়কের ইন্তেহাদ প্লাস্টিক কারখানার সামনে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা প্রাইভেটকারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেলে থাকা তিন বন্ধু সড়কে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাদের উদ্ধার করে আদমদীঘি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে গুরুতর আহত রাহিম ও তৌফিককে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে রাত ৮টার দিকে চিকিৎসক রাহিমকে মৃত ঘোষণা করেন।
আদমদীঘি থানার ওসি আতাউর রহমান জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আদমদীঘি থানায় সড়ক পরিবহন আইনে মামলা হয়েছে।
অপরদিকে, শনিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে বগুড়া সদরের বারোপুর এলাকায় একটি ট্রাকের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেলে থাকা গৃহবধু শান্তা ইসলাম গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বগুড়া সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মাহফুজ আলম জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহত গৃহবধুর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় সড়ক পরিবহন আইনে মামলা হয়েছে।