বগুড়ায় ছিনতাই হওয়া মিশুক উদ্ধার: ২ জন গ্রেফতার
শাজাহানপুর( বগুড়া) প্রতিনিধি
বগুড়ার শাজাহানপুর থানা পুলিশের অভিযানে ছিনতাই হওয়া একটি মিশুক গাড়ী উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে একজন কিশোর।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে বগুড়া শহরের কলোনী বাজার থেকে দুইজন যাত্রী নিয়ে মিশুক চালিয়ে শাজাহানপুর উপজেলার জোড়া তালপুকুর গ্রামের পাথারে কাঁচা রাস্তায় পৌঁছান চালক শাহজালাল বাবু সুজন। সেখানে পৌঁছামাত্র ছিনতাইকারীরা মিশুক চালক বাবুকে একটি গাছের সাথে বেঁধে ফেলে। এক পর্যায়ে চাকু দিয়ে মিশুক চালকের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে তাকে গুরুতর জখম করে। এ সময় তার ব্যবহৃত একটি স্মার্ট মোবাইল ফোন, নগদ ৬০০/৭০০ টাকা এবং মিশুক নিয়ে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা। মিশুকচালক মোঃ শাহজালাল বাবু সুজন (২৫) বগুড়া পৌরসভার ১৯ নং ওয়ার্ডের খামারকান্দি পশ্চিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
ঘটনার তদন্তে শাজাহানপুর থানা পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালায়। অভিযানে মোঃ আলামিন ওরফে আল আমিন (২১) কে গ্রেফতার করা হয়। তার বসতবাড়ির শয়ন কক্ষের মিটসেফ থেকে বাদীর লুষ্ঠিত একটি পুরাতন অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে কাহালু উপজেলা থেকে আইনের সঙ্গে সংঘাতে জড়িত কিশোর মোঃ হিছানুর রহমান তুষার (১৬) কে আটক করা হয়।
কিশোর তুষারের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কাহালু উপজেলার জামগ্রাম বাজারস্থ নুসাইব-নুসাইবা ফার্নিচারের দোকান থেকে মিশুক গাড়ীর তিনটি চাকা ও চেসিস ব্যতীত বাকি সকল খোলা অংশ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া পুলিমের জিজ্ঞাসাবাদে নেওয়ার পর আসামির দেয়া তথ্যমতে শহরের সূত্রাপুর গোহাইল রোডের শাহরিয়ার ব্যাটারী নামক দোকান থেকে মিশুক গাড়ীর চারটি ব্যাটারী উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, ঘটনার সাথে মোঃ রাসেল (২০) নামে আরো একজন পলাতক আসামী সরাসরি জড়িত রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই (নিঃ) মোঃ শরিফুল ইসলাম জানান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ মোস্তফা মঞ্জুর, পিপিএম-এর নেতৃত্বে অভিযানে মামলার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ আলামিন ঘটনার সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।