ম্যারাডোনা, পেলের পাশে এবার বসলেন মেসি

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০২৩ ১২:৫২ ।
খেলাধুলা
পঠিত হয়েছে বার।

৩৬ বছর পর নিজ দেশ আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপের স্বাদ পাইয়ে দিয়ে একের পর এক বিশেষ সম্মাননায় ভেসে চলেছেন বিশ্বকাপের গোল্ডেন বলজয়ী লিওনেল মেসি। চলতি বছর ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার হিসেবে জিতেছেন দ্য বেস্টের শিরোপা। ধারণা করা হচ্ছে রেকর্ড অষ্টমবারের মতো তার হাতেই উঠতে যাচ্ছে ব্যালন ডি’অরের শিরোপাও। 

বিশ্বকাপজয়ী এ অধিনায়ক বর্তমানে আর্জেন্টিনায় অবস্থান করছেন দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে। তার মধ্যে পানামার বিপক্ষে ম্যাচে অংশ নিয়ে দলের জয়ে ভূমিকা রেখেছেন। দুর্দান্ত ফ্রি-কিক থেকে পেয়েছেন গোলও। দ্বিতীয় ম্যাচটি খেলতে মাঠে নামবে আগামীকাল বুধবার বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ৫টায়। 

মাঝের এই সময়টাতে আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশন বিরল সম্মাননা দিয়েছে মেসিকে। তার নামে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের অনুশীলন গ্রাউন্ডে খেলোয়াড়দের বাসভবনের নামকরণ করেছে তারা। সোমবার (২৭ মার্চ) দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা কনমেবলের কাছ থেকে আরও এক সম্মাননা পেয়েছেন মেসি। যেটি নিজেও কখনো কল্পনা করেননি। 

বিশ্বের সেরা মেসিকে সম্মান জানাতে কনমেবল তার সমান উচ্চতার এক ভাস্কর্য গড়েছে। সেটি উন্মোচনের অনুষ্ঠানে পুরো আর্জেন্টিনা দল এবং আর্জেন্টাইন ফেডারেশনের (এএফএ) সভাপতি ক্লদিও তাপিয়া উপস্থিত ছিলেন। ভাস্কর্যের পাশে দাঁড়িয়ে মেসি নিজে ছবি তুলেছেন। যেই ভাস্কর্যের জায়গা হবে কনমেবল জাদুঘরে। যেখানে আগে থেকেই জায়গা করে নিয়েছেন প্রয়াত আর্জেন্টাইন কিংবদন্তী দিয়াগো ম্যারাডোন ও প্রয়াত ব্রাজিল কিংবন্তী পেলে।

উক্ত অনুষ্ঠানে বিশ্বকাপজয়ী পুরো আর্জেন্টিনাকে বিশেষ সম্মান জানিয়েছে কনমেবল। বিশ্বকাপের সময় ভাইরাল হয়ে পড়া ১২ বছর বয়সী আর্জেন্টিনা ভক্ত হোসে আনদ্রাদার কথায় চোখ ভিজেছে যায় আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি, মিডফিল্ডার এনসো ফের্নান্দেসসহ অনেকের।

ম্যারাডোনাকে নিয়ে বিশেষ গান গাওয়া আর্জেন্টাইন গায়িকা সোলেদাদ পাস্তোরুত্তি বিশেষ গান গেয়েছেন মেসি ও আর্জেন্টিনা দলকে নিয়ে।

সোমবার (২৭ মার্চ) ভাস্কর্য উন্মোচনের পর মেসি বলেন, এটা আসলেই অনেক বিশেষ কিছু। কখনও স্বপ্নেও ভাবিনি এমন কিছু হবে। আমার স্বপ্ন তো ছিল শুধুই আশৈশব যেটা পছন্দ করতাম, সেটা করতে পারা, পেশাদার ফুটবলার হওয়া, ফুটবল খেলে যাওয়া।

আর্জেন্টিনার জার্সিতে সাফল্য পাওয়া মেসি এখনো ভুলেননি তার আগের ব্যর্থতায় ধূসর অতীতের কথা। অতীতের কথা স্মরণ করে মেসি বলেন, অনেক হতাশা সয়েছি, অনেক হার দেখেছি। কিন্তু সবসময় সামনে তাকিয়েছি। সবসময় এই একটা জয়ের খোঁজে থেকেছি। এটাই গুরুত্বপূর্ণ। নিজের স্বপ্নের পেছনে ছোটা, এটা মনে গেঁথে নেয়া যে জীবনে যেকোনো কিছুই সম্ভব। আর ফুটবলটাকে উপভোগ করে যাওয়া, যেটা আমার জন্য, আমাদের সবার জন্য সবচেয়ে সুন্দর বস্তু।