আশা এনজিও প্রতিষ্ঠাতার ৩য় মৃত্যুবার্ষিকীতে বগুড়ায় দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৯:১২ ।
বগুড়ার খবর
পঠিত হয়েছে বার।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে আশা এনজিও প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত মোঃ সফিকুল হক চৌধুরীর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আশা বগুড়া ফিজিওথেরাপী সেন্টারে দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। আশা বগুড়া ফিজিওথেরাপী সেন্টারে সকাল ৯টায় দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন বগুড়া (সদর) জেলার সিনিয়র ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার মোঃ ইয়াহিয়া। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বগুড়া সদর অঞ্চলের সিনিয়র রিজিওনাল ম্যানেজার আব্দুল কালাম আজাদের পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন আশা’র বগুড়া সদর-০১ এর সিনিয়র ব্রাঞ্চ ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম, বগুড়া সদর-০২ এর সিনিয়র ব্রাঞ্চ ম্যানেজার সেরাজুল ইসলাম, বগুড়া সুত্রাপুর এমএসএমই শাখার সিনিয়র ব্রাঞ্চ ম্যানেজার একরামুল হক, বগুড়া সদর-০১ এর সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ব্রাঞ্চ ম্যানেজার পার্থ চন্দ্র সুত্রধর, বগুড়া (সদর) জেলার সার্পোট ইঞ্জিঃ সৈয়দ রাশেদ ইকবাল, বগুড়া আশা ফিজিওথেরাপি সেন্টারের ক্লিনিক্যাল ফিজিওথেরাপিস্ট ডাঃ আব্দুল কাইয়ুম ও ডাঃ পাপিয়া সুলতানা, বগুড়া সদর থানার স্টেডিয়াম ফাঁড়ির এসআই গোলাম মোস্তফা, বিশিষ্ট সমাজসেবক শামিম হোসেন। দিনব্যাপী কর্মসূচিতে ফিজিওথেরাপি সেন্টারে আগত নারী ও পুরুষদের বিনামূল্যে থেরাপি প্রদান, ব্লাড সুগার টেস্ট, বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ, ফিজিওথেরাপি উপকরণ বিতরণ সহ স্বাস্থ্য বিষয়ক ব্যবস্থাপত্র প্রদান করা হয়।


ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন বগুড়া (সদর) জেলার সিনিয়র ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার মোঃ ইয়াহিয়া বলেন, ১৯৭৮ সালে আশা প্রতিষ্ঠা করেন প্রয়াত মোঃ সফিকুল হক চৌধুরী। তারপর থেকে সামাজিক ভাবে কাজ করে যাচ্ছে আশা। ২০২৩ সালে প্রায় ৭০ লাখ সদস্যের মাঝে ঋণ বিতরণ। আশা এমএসএমই কার্যক্রমের আওতায় সাড়ে ১২ হাজারের বেশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাকে ঋণ প্রদান। প্রায় ১২৩ কোটি টাকা বৈদেশিক রেমিটেন্স গ্রাহককে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও প্রান্তিক কৃষকদের সহায়তার লক্ষ্যে প্রায় ৪৬ লাখ সদস্যের মাঝে ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। আশা স্বাস্থ্য কর্মস‚চিতে ৭টি সমন্বিত স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও ৮১টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ রোগীকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান। শিক্ষা কর্মস‚চিতে ৫২৫০টি নতুন শিক্ষাকেন্দ্রে ৩.৯১ লাখ শিক্ষার্থীকে পাঠ সহায়তা প্রদান। স্যানিটেশন কার্যক্রমে  ২৯ হাজার ২২০টি পরিবারকে অফসেট টয়লেট স্থাপনে ঋণ এবং ১৭৩ জন স্যানিটেশন উদ্যোক্তাকে ঋণ প্রদান করা হয়েছে। আশা-বঙ্গবন্ধু উচ্চশিক্ষা বৃত্তি কার্যক্রমের আওতায় ১৩১ জন অসচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীকে ৪৭ লাখ টাকা বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। দরিদ্র শীতার্ত মানুষের মাঝে ৯১ লাখ টাকা মূল্যের কম্বল বিতরণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।