বগুড়ায় বিএনপি নেতার ওপর আ'লীগের হামলা, আহত ৪

নন্দীগ্রাম( বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭ অগাস্ট ২০২৪ ১৮:২৪ ।
বগুড়ার খবর
পঠিত হয়েছে ৮২০ বার।

বগুড়ার নন্দীগ্রামে বিএনপি নেতার ওপর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হামলার পর সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ৪জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে এক বিএনপি সমর্থকের অবস্থা গুরুতর। ধাওয়া খেয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পালিয়েছে বলে জানা গেছে। 

 

গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে নন্দীগ্রাম উপজেলার থালতা-মাঝগ্রাম ইউনিয়নের পারশুন স্কুলের সামনে বউ বাজার এলাকায় বিএনপি নেতা মাসুদ রানা মজিদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে বিপুল সংখ্যক বিএনপি নেতাকর্মী ও সাধারণ জনতা ঘটনাস্থলে গেলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এসময় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের তিনটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুদ্ধ লোকজন। 

 

আহতরা হলেন- উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি ও থালতা-মাঝগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা মজিদ, বিএনপি কর্মী ফয়েজ উল্লাহ, আওয়ামী লীগ নেতা বেলাল হোসেন, হেলাল হোসেন। এদের মধ্যে বিএনপি কর্মী ফয়েজ উল্লাহকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

 

স্থানীয়রা জানান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর পারশুন গ্রামের ক্ষুব্ধ বিএনপি নেতাকর্মীদের তোপের মুখে আত্মগোপনে আছেন একই গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা ও মাদকসহ এক ডজন মামলার আসামী বেলাল হোসেন। উত্তেজিত পরিস্থিতিতে এলাকার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। বুধবার বিএনপি নেতা মাসুদ রানা মজিদ মোটরসাইকেল নিয়ে পাশের চাপাপুর বাজারের পথে রওনা দিতেই পারশুন বউ বাজারে তার ওপর হামলা হয়। আওয়ামী লীগ নেতা বেলাল, হেলাল, নুরুল, জাকারিয়া, দেলু, আকরামসহ ১৫/২০ জন লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে বলে বিএনপি নেতাকর্মীদের অভিযোগ। 

 

হামলার শিকার বিএনপি নেতা মাসুদ রানা মজিদ বলেন, তাকে একা পেয়ে সুযোগ বুঝে হামলা করে আওয়ামী লীগের লোকজন। বিএনপি কর্মী ফয়েজ উল্লাহ এগিয়ে এলে তাকেও লাঠিপেটা করে। এসময় স্থানীয় লোকজন ও বিএনপি নেতাকর্মীরা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। 

 

তবে নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন রানা পলাতক থাকায় তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়র আনিছুর রহমানও পলাতক আছেন।