বগুড়ার মহাস্থান হাটে মুলা- ফুলকপি ২ থেকে ৫ টাকা কেজিতে বিক্রি
স্টাফ রিপোর্টার
বগুড়ার হাটেবাজারে ২ থেকে ৫ টাকা কেজিতে মুলা ও ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে। দাগওয়ালা মুলা ফুলকপির দাম আরো কমে দেড় টাকা থেকে ২ টাকা কেজি। কমেছে বাধাকপির দাম, প্রতিপিছ ৬ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৫ টাকা পিছ হিসেবে বিক্রি হচ্ছে।
সরোজমিনে দেখা গেছে, শীতকালীন সবজির ভরা মৌসুমে মহাস্থান হাটে সবধরনের সবজির সরবরাহ বেড়ে গেছে। তবে দাম কম পেয়ে চাষীদের মাঝে হতাশা। ১০ থেকে ১৫ দিন আগে ফুলকপি ২০ থেকে ৩০ টাকা, মূলা ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজি ও বাঁধাকপি ২০ থেকে ৩০ টাকা পিছ বিক্রি হলেও এখন এসব সবজির দাম নেমে এসেছে প্রতি কেজি ৫ টাকার নিচে। সোমবার প্রতিকেজি ফুলকপি ২ থেকে ৪ টাকা, মুলা ২ থেকে ৫ টাকা, বাধাকপি প্রতি পিছ ৬ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে মহাস্থান হাটে। শুধু মূলা ফুলকপি নয় কমেছে অন্যান্য সবজির দামও। এছাড়া দাগওয়ালা ফুলকপি ও মূলা ৫০ থেকে ৮০ টাকা মন হিসেবে বিক্রি হচ্ছে।
চাষীরা জানান, তারা মৌসুমের শুরুতে মুলা ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি করলেও গেল ১৫ দিন ধরে দাম কমে এসেছে। সর্বশেষ ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজিতে বিক্রি করলেও ১৫ দিনের ব্যবধানে তা ২ থেকে ৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ১৫ দিন আগে ১৫ থেকে ৩০ টাকা কেজিতে ফুলকপি বিক্রি করেছেন, এখন তা ২ থেকে ৮ টাকা সর্বোচ্চ দামে বিক্রি করছেন। এতে করে চাষীদের উৎপাদন খরচ নিয়ে দু:শ্চিন্তায় তারা। এদিকে ফুলকপি মুলার পাশাপাশি বাধাকপির দামও বেশ কমেছে। প্রতিপিছ ৬ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বেগুন ২০ থেকে ২৫ টাকা, কাঁচা মরিচ ৪০ থেকে ৫০ টাকা, সিম ৩০ থেকে ৪০ টাকা, টমেটো ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মতলুবর রহমান জানান, গেল কয়েক বছর ধরেই বগুড়ার চাষীরা ভালো দাম পাচ্ছেন, বিগত বছরগুলোর চেয়ে এবার ফলনও ভালো হয়েছে। জেলায় এই মৌসুমে সাড়ে ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে ৩ লাখ ৬ হাজার টনেরও বেশি সবজি উৎপাদন হবে। জেলার চাহিদা মিটিয়ে সারাদেশে যাচ্ছে বগুড়ার সবজি।