নবীন প্রবীণ শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত প্রায় শতবর্ষী বগুড়ার গাবতলী পদ্মপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ০১ এপ্রিল ২০২৫ ১৫:১৫ ।
বগুড়ার খবর
পঠিত হয়েছে ২৬ বার।

 নবীন প্রবীণ ৬ শতাধিক শিক্ষার্থীদের পদচারনায় মুখরিত প্রায় শতবর্ষী বগুড়ার গাবতলী পদ্মপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ। ঈদুল ফিতরের পরের দিন মঙ্গলবার বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী হয়েছে। শিক্ষার প্রাঙ্গনে স্মৃতির দেখা, প্রজন্মে প্রজন্মে বন্ধনের রেখা স্লোগান সামনে রেখে প্রথমবারের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শেষে বিদ্যালয় চত্বরে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও 'আমরা বিএনপি পরিবার'-এর আহ্বায়ক, সিনিয়র সাংবাদিক আতিকুর রহমান রুমন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা আলহাজ্ব মাহবুবর রহমান, বক্তব্য দেন প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান কবির শাহীন, শাহজাহান আলী খন্দকার, নুরুল ইসলাম, আলহাজ্ব জালাল উদ্দিন, সাজেদুর রহমান মোহন, প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মোস্তফা কামাল স্বপন, প্রাক্তন শিক্ষার্থী ফয়জুর রহমান ফারুক, প্রাক্তন শিক্ষার্থী তারিকুল ইসলাম অরেঞ্জ, উদযাপন কমিটির আহবায়ক শওকত আলী। উল্লেখ্য ১৯৩৫ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টি শুধু পদ্মপাড়া নয় আশেপাশের গ্রামে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে। প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা দেশের বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ন দায়িত্ব পালন করছেন।

১৯৪৬ সালের শিক্ষার্থী মাহবুবর রহমান, ১৯৫৫সালের সালের শিক্ষার্থী শাহজাহান আলী খন্দকার সহ একেবারেই সদ্য পাশকৃত শিক্ষার্থীরাও এসেছিলো মিলন মেলায়। তারা জানান, এমন আয়োজনে তারা যেন সেই বিদ্যাপিঠের দিনগুলোতে ফিরে গেছেন। এমন আয়োজন প্রতিবছর হোক।

প্রধান অতিথি বলেন, এখানে সবাই স্কুলের ছাত্র, প্রাথমিক বিদ্যালয় লেখাপড়ার সুতিঘর, এরচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান হতে পারে না, এ প্রতিষ্ঠান শুধু পদ্মপাড়া নয় আশেপাশের বিভিন্ন গ্রামের মানুষদের আলোকিত করেছে শিক্ষার আলোয়।

অনুষ্ঠানের সভাপতি বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও 'আমরা বিএনপি পরিবার'-এর আহ্বায়ক, সিনিয়র সাংবাদিক আতিকুর রহমান রুমন বলেন, নবীন প্রবীনের মিলন মেলা, সবার সাথে পরিচিত হবে, যার মাধ্যম্যে ঐক্য গড়ে উঠবে যা অনেক শক্তিশালী। প্রতিষ্ঠানসহ গ্রাম এবং গোটা গাবতলীকে এগিয়ে নেয়া হবে। আলোচনা সভা শেষে স্মৃতিচারণ ও মধ্যাহ্নভোজ এবং  শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।