বগুড়ায় দুই সাংবাদিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় যুবক আটক

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ০৬ এপ্রিল ২০২৫ ২১:২৫ ।
বগুড়ার খবর
পঠিত হয়েছে ১০৩ বার।

বগুড়ায় জলেশ্বরীতলা এলাকার জেলখানা মোড়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন দুই সাংবাদিকসহ তিনজন। এঘটনায় রাকিব নামে একজনকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ।

 

রবিবার (৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭ টার দিকে শাজাহানপুর উপজেলার গন্ডগ্রাম এলাকায় তার নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।

 

আটক রাকিব (২৭) শাজাহানপুর উপজেলার গন্ডগ্রাম এলাকার আব্দুল মতিনের ছেলে।

 

এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ইন্সপেক্টর রাকিব হোসেন।

 

তিনি জানান, বিকাল ৩ টায় শহরের জলেশ্বরীতলা এলাকায় দুই সাংবাদিক আসাফুদৌলা নিয়ন, খোরশেদ আলম ও তাদের সাথে থাকা তৌফিকুল ইসলাম নিরবের ওপর অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকেই পুলিশের একাধিক টিম হামলাকারীদের শনাক্ত ও আটক করতে অভিযান চালায়। আশপাশের সিসি ক্যামেরা ফুটেজে হামলাকারীদের শনাক্ত করা হয়েছে। পরে সন্ধ্যা ৭ টার দিকে হামলাকারীদের একজন রাকিবকে আটক করে পুলিশ।

 

তিনি আরো জানান, এঘটনায় বাকী হামলাকারীদের আটক করতে পুলিশ মাঠে কাজ করছে।

 

এরআগে বিকেলে সাড়ে ৩ টার সময় বগুড়া শহরের জেলখানা মোড় এলাকায় ফ্রেস জুস বারের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

 

দুই সাংবাদিক হলেন, বগুড়া লাইভের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট আসাফুদৌলা নিয়ন, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকার উত্তরাঞ্চল প্রতিনিধি খোরশেদ আলম।

আহত সাংবাদিক নিয়ন ও খোরশেদ বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

 

আহত সাংবাদিকদের মাথায়, চোখে ও হাতে আঘাতে চিহ্ন রয়েছে।

 

সাংবাদিক খোরশেদ  বলেন, আমরা বিকেল তিনটার সময় ঐ জুস বারে জুস পান করতে যাই। এর আগে নিউজের একটা কাজে কোর্টে গিয়েছিলাম। জুস পান করে বাইরে আসার সময় হঠাৎ করে একদল যুবক (১২-১৪) জন নিয়নকে ঘিরে ধরে। আমি ঐ যুবকের সাথে কথা বলার চেষ্টা করি। তখন তারা আমাকে মারধর শুরু করে। মাথায় কিল ঘুষি দেয়। এর পর চাকু মারতে ধরলে নিয়ন আমাকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে ৮-৯ জন তাকে রাস্তায় এনে মাটিতে ফেলে মারধর করতে থাকে।"

 

সাংবাদিক নিয়ন বলেন, আমি এদের সবাইকে চিনতে পারিনি। তবে এর মধ্যে একজন আমার এলাকার ছিল।

 

কারণ জানতে চাইলে নিয়ন বলেন, "সম্ভবত এরা আগে থেকে এরা আগে থেকে আমাদের অনুসরণ করছিল। জুস বার থেকে বের হবার সময় কয়েকজন আমাকে ঘিরে ধরে নাম-ঠিকানা জিগ্যেস করে। আমি পরিচয় দিয়ে বাইরে বের হবার সময় তারা পিছন থেকে আমাকে আক্রমণ করে। আমার মাথায় ও চোখে অনেক কিল ঘুষি মারতে থাকে। এক পর্যায়ে আমি আর ডান চোখে দেখতে পাইনা। পরে কৌশলে সেখান থেকে সরে আসি হাসপাতালে।"

 

কি কারণে আমাদের মেরেছে সেই বিষয়টি এখনও পরিস্কার হতে পারিনে কেউই।